সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা বিশ্বে কোথাও ঘটেছে কিনা তা জানা নেই। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্র্যাবের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে আগুন দেওয়া, মানুষের সম্পদ পোড়ানো, কমিটি পছন্দ না হলে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, মানুষকে আক্রমণ করা তো রাজনৈতিক অপরাধ। সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক এসব অপরাধ বেড়েছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা পুরো পৃথিবীতে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এদিন ক্র্যাব প্রতিষ্ঠার চার দশক উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী। এতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন রিপোর্টিং জরুরি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন টেলিভিশন ১০টি ছিল, এখন ৩৫টি সম্প্রচারে আছে। পত্রিকা সাড়ে ৪০০ থেকে এখন ১২০০ হয়েছে। তবে কিছু ভূঁইফোড় সংবাদমাধ্যম আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এসব সংবাদপত্র ও আইপি টিভির কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। কর্তৃপক্ষ কী টাকা পাঠাবে, উল্টো নাকি প্রতিনিধিরাই টাকা পাঠায়। এমনও দেখেছি। এগুলো এখন অনেকখানি কমে এসেছে।
এ সময় সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য ‘অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড’ কমানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্যে। তখন তথ্যমন্ত্রী বলেন, সচিবালয়ে বেশ কটি ঘটনা ঘটেছে। এরপর উত্থাপিত হয় যে, পৃথিবীর কোনো দেশে সচিবালয়ে ঢোকা এত সহজ নয় এবং এত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয় না সাংবাদিকদের। তাহলে বাংলাদেশে কেন এত কার্ড! তিনি বলেন, অনেকে কাজ করেন কঙবাজার, দিনাজপুরে। তার কী কাজ সচিবালয়ে? এগুলো অনেক কমেছে। যদিও এখনও কিছু আছে।