বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা ভাসানচর সন্দ্বীপের বলে চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয় যে প্রতিবেদন দিয়েছিল, সেটি বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘নিরাপদ নোয়াখালী চাই’ সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক সাইফুর রহমান রাসেলের পক্ষে আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু এ নোটিস পাঠান। খবর বিডিনিউজের।
এতে বলা হয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অনুমোদনে ২০১৬–১৭ সালের দিয়ারা জরিপে নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটি সঠিকভাবে হাতিয়া উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটে ভাসানচর অংশের ছয়টি মৌজা নোয়াখালীর হাতিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করেই এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, যা মীমাংসিত। ‘অতএব গত ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয় ভাসানচরকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপলোর অন্তর্ভুক্ত করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তা ‘পক্ষপাতদুষ্টু ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম’। নোটিস পাওয়ার পর ওই প্রতিবেদেনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে হাই কোর্টে রিট আবেদন করার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৬–১৭ সালের দিয়ারা জরিপ অনুসারে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর ‘ভাসানচরকে’ নোয়াখালী জেলার ভাসানচরের অধিভুক্ত করা হয়। ওই চরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে। জেগে ওঠা ওই চরকে সন্দ্বীপের বলে দাবি করেন সেখানকার লোকজন। তারা আরএস ও সিএস জরিপের ভিত্তিতে ভাসানচরের বেশিরভাগ অংশ অতীতে দ্বীপটির ভেঙে যাওয়া অংশ বলে দাবি করেন।