ভালোবাসা হলো এক ধরনের প্রতিজ্ঞা। আর বসন্ত হলো প্রকৃতির বন্দনা। বসন্ত আর ভালোবাসার মিশেলে গতকাল দিনটি ছিল অনন্য। বসন্তের নির্মলতায় ভালোবাসা হলো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস– দুটিতে উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু ‘ভালোবাসা’। একটু গভীরভাবে ভাবলে বোঝা যায়, প্রকৃতি ও বিশেষ মানুষের প্রতি ভালোবাসা আলাদা কিছু নয়। ভালোবাসার ধরন ভিন্ন হতে পারে। তবে দুটোই মানুষের অনুভূতি ও মর্মে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। প্রকৃতি ও মানব মনের প্রতি প্রেম একই জায়গা থেকে আসে। গতকাল ছিল পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস। একটি বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, অন্যটি সময়ের সঙ্গে মিশে গেছে সংস্কৃতির সঙ্গে; একটি প্রকৃতিকে বরণ করার আর অন্যটি আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দিন– এবার দুই–ই মিলেমিশে একাকার। আর এ কারণে আনন্দও যেন দ্বিগুণ! প্রকৃতির রঙে ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলার দিন ছিল গতকাল। কে, কোন উৎসবকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই অংক একেবারেই বাদ। উৎসব যাই হোক, পালনই বড় কথা। আর উৎসব পালন করার ব্যাপারটি একান্তই ব্যক্তিগত।
নগরবাসী ভালোবাসায় বসন্তকে বরণ করে নিতে গতকাল ভিড় করেছিল সিআরবি, পাহাড়তলী আমবাগান শেখ রাসেল পার্ক, লালদীঘির মাঠ, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থানে। খোঁপায় গাঁদা ফুল গুঁজে, বাসন্তি শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে যে মেয়েটি একলা প্রহর গুণছিল ভালোবাসার, তার ধৈর্যের বাধ ভাঙার আগেই মধুর বসন্তের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে প্রিয়তম পুরুষটি কাল বাড়িয়ে দিয়েছিল তার বিশ্বস্ততার হাত নিঃশব্দে।
নগরীতে প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর বসন্ত উৎসবের প্রতিটি স্থানে গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকেই বসেছিল নানা বয়সী মানুষের সম্মিলন। বাংলার চিরায়ত গান, নাচ, আবৃত্তি, কথামালাসহ নানা আয়োজনে শুরু থেকেই মুখর ছিল উৎসব অঙ্গন। ভালোবাসা দিবস সেই আয়োজনে এনে দিয়েছে ভিন্নতাও।
‘আমি তোমার জন্য ফাগুনে স্লোগানে মিলেমিশে একাকার/ আমি তোমার জন্য চৈতালী সাঁঝে হতে চাই শুধু তোমার।’– শীতের জীর্ণতা সরিয়ে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেছিল কাল ঘুমন্ত মন। ‘সে কি আমায় নেবে চিনে, এই নব ফাল্গুনের দিনে?’ এ আশঙ্কাকে মিথ্যে করে দিয়ে পলাশ শিমুলের লালে দু’জন হারিয়েছিল দু’জনার মাঝে। কোকিলের কুহুতান যান্ত্রিক নগরে হয়তো পৌঁছাবে না, তা পুষিয়ে দিয়েছিল উচাটন মন। উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে কলকাকলির বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ঠিক বসন্ত এসেছিল আপন রঙে রাঙাতে।
প্রতিবছরের মতো এবছরও আদি ও অকৃত্রিম হৃদয় ছোঁয়ায় নগরবাসী বসন্তকে বরণ করেছিল। বসন্ত বরণে আসা বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীই ছিল বেশি। কেউ গলায় ঢোল ঝুলিয়ে আর কেউ হাতে, মুখে রঙ মেখে মিলিত হয়েছেন বসন্ত বরণের আনন্দে। গায়ে হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি জড়িয়ে হাতে হাত রেখে বসন্তের এই আগমনী দিনে বেরিয়ে পড়েন তরুণ–তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সবার মুখে বসন্তের জয়গান।
ভালোবাসা আর বসন্ত উদযাপনে পিছিয়ে থাকবে না কোনো উৎসব। তবুও বাঙালি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা থেকে বসন্ত বন্দনাকেই এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ।
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্কে বোধনের আয়োজনে বসন্ত বন্দনায় মেতেছিল নগরবাসী। ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এলো প্রাণে’ শিরোনামে বোধনের বসন্ত উৎসব সকাল ৯টায় শুরু হয় বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি সোহেল আনোয়ারের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। এরপর যন্ত্র সংগীত পরিবেশন করে ভায়োলিনিস্ট চিটাগং। এরপর বসন্ত প্রদীপ প্রজ্বলন ও কবুতর উড়িয়ে বসন্ত উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন একুশে পদকে ভূষিত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। এসময় তিনি বলেন, ‘বসন্ত আমাদের মনে চির দোলা দিয়ে যায়। বসন্ত উৎসব বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। আমাদের জীবন যদি ধূসর হয়ে যায়, তখন বসন্ত অনুরণন ভেতরে অনুভব জাগায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বসন্তের প্রয়োজন আছে। এ জন্য আমাদের বোধশক্তি জাগ্রত হলে, সে জাগরণ শক্তি দিয়ে ভালো মানুষ হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারবো।
বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মৃন্ময় বিশ্বাসের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে কথামালায় অংশ নেন একুশে পদকে ভূষিত নাট্যজন ইকবাল হায়দার, বোধনের উপদেষ্টা লায়ন বাসুদেব সিনহা, সভাপতি সোহেল আনোয়ার, বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় পাল, নিপ্পন পেইন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মানব কুমার সাহা। পরে দলীয় সংগীতে অংশ নেন অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন, সুরপঞ্চম, বাগেশ্বরী সংগীতালয়। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ক্লাসিক্যাল ডান্স, ওডিসি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, মাধুরী ডান্স একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, নৃত্যরূপ একাডেমি, সুরাঙ্গণ বিদ্যাপীঠ। একক আবৃত্তি করেন রাশেদ হাসান, সেলিম রেজা সাগর, তাসকিয়া নূর তানিয়া। একক সংগীত সংগীত পরিবেশন করেন শ্রেয়সী রায়, কেকা দৃষ্টি শর্মা, কান্তা দে, রিষু তালুকদার, জয় দত্ত দীপ্ত, প্রিয়াংকা দাশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হয় বিকালের অনুষ্ঠান। এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, এ বি নৃত্যাঙ্গন, নৃত্যেশ্বর। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত ভবন, নবধারা সংগীতালয়, ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন, উদীচী। একক সংগীত পরিবেশন করেন কাবেরী সেনগুপ্তা, কান্তা দে, শিমু বিশ্বাস, প্রিয়া ভৌমিক, চন্দ্রিমা ভৌমিক। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবাশিষ রুদ্র, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, জসীম উদ্দিন, লিংকন বিশ্বাস, ঈশা দে। পুরো উৎসব উপস্থাপনায় ছিলেন গৌতম চৌধুরী, অনুপম শীল, পলি ঘোষ, শুভাগত শুভ, সাজ্জাদ হোসেন, শ্রাবণী দাশ, শর্মিলা বড়ুয়া, সুচয়ন সেনগুপ্ত, ত্রয়ী দে, ফাতেমা তুজ জোহরা জুঁই, ইভান পাল, ঋত্বিকা নন্দী, পুষ্পিতা বিশ্বাস। বোধন আবৃত্তি পরিষদের বৃন্দ আবৃত্তি দিয়ে শেষ হয় বসন্ত উৎসব–১৪৩০।
বসন্ত উৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে গতকাল বিকেল চারটায় একাডেমিস্থ অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে বসন্ত বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান মালায় বসন্তের গান, কথামালা, আবৃত্তি ও নৃত্যে উপস্থাপিত হয় ষড়ঋতুর বাংলার চিরায়ত রূপবৈচিত্র্য। শুরুতে জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন সকলকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িসী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এবং নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক অনন্য বড়ুয়ার পরিচালনায় প্রাপন একাডেমি, সংগীত শিল্পী অপু বর্মন এবং শিল্পী শ্রেয়সীর রায়ের পরিচালনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত দল। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অপু বর্মন, শ্রেয়সী রায়, কৌশিক দত্ত, নুসরাত জাহান রিনি, জয়দীপ বাউল, রূপা দাশ, আইভি দাশ রিউ।
‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এলো প্রাণে’– এই শিরোনামে দেশের অন্যতম আবৃত্তি সংগঠন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম প্রতি বছরের মত এবার ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে আয়োজন করে যাচ্ছে বোধন বসন্ত উৎসব ১৪৩০। আবৃত্তি শিল্পী শিমুল নন্দীর পরিবেশনায় একক আবৃত্তি এবং বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য অধ্যাপক রোজী মজুমদার সেনের সেতার বাদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। বৈকালিক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকে ভূষিত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র এঙিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সনজয় দাশ, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ শফিউল আজম চৌধুরী বাহার। আয়োজনে প্রধান অতিথি বলেন, বসন্ত উৎসব বাঙালির প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, বোধন আয়োজিত এই উৎসব বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে মেলে ধরেছে এবং আমাদের সংস্কৃতিকে সুদূর প্রসারী করেছে। বিশ্বজনীন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য এই ধরনের কার্যক্রম সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিকেল ৩টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বৈকালিক অধিবেশন শুরু হয়। দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় ছিল সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, দি স্কুল অফ ক্লাসিক্যাল এন্ড ফোক ডান্স, প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক অঙ্গন, নৃত্যনন্দন, নৃত্য নিকেতন, কৃত্তিকা নৃত্যালয়, স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স, ওডিসি এন্ড ট্যাগর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, আলোড়ন ডান্স একাডেমি, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি। দলীয় সংগীত পরিবেশনায় ছিল কালচারাল পার্ক, সঙ্গীত ভবন, অদিতি সঙ্গীত নিকেতন। একক সংগীত পরিবেশন করেছেন স্বপ্নীল বড়ুয়া ডানা, মিতালী রায়, মহিমা দে ত্রয়ী, নুসরাত রিনি, কান্তা দে, রুবেল চৌধুরী, দেবলীনা চৌধুরী, প্রিয়া ভৌমিক, রিয়া সেনগুপ্তা, অনন্যা সেন রিপা। দ্বৈত সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন জয় সেন হিরো ও ববি মনি। একক আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল নন্দী, মোহিনী সংগীতা সিংহ, সন্দীপন সেন একা, পৃথুলা চৌধুরী, মমি ভট্টাচার্য্য, জয়শ্রী মজুমদার, অনিমেষ পালিত, হোসনে আরা নাজু, পাতা দে, স্মরণ ধর, নিশি চৌধুরী, হোসনে আরা তারিন। সন্দীপন সেন, পৃথুলা চৌধুরী এবং যশস্বী বনিকের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় বোধন আবৃত্তি স্কুলের শিশু বিভাগের পরিবেশনা ‘এই ছড়াটা অন্যরকম’। এছাড়া উৎপল কান্তি বড়ুয়ার রচনা এবং মাইনুল আজম চৌধুরীর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বড়দের বৃন্দ আবৃত্তি ‘পরান অর এই চাটগাঁ আঁরার’ পরিবেশিত হয়।
নগরীর সিআরবি মোড়ে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন। সকাল ৮টায় গান, কবিতা ও বেহালাবাদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকালের পর্বের পর দুপুরে বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকালে দ্য ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের যন্ত্রীদের বেহালা বাদনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। প্রমার বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি বলেন, আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি এই ফাল্গুনে আমাদের মায়ের ভাষা বাংলার মান রাখতে একুশে ফেব্রুয়ারি যারা শহীদ হয়েছিলেন। একুশের সাথে আমার পরিবারে সম্পর্ক গৌরবময় অনুভূতির। একুশ মানে মাথা নত না করা। আর মাথা নত না করার এই শিক্ষা আমি পেয়েছি আমার বাবার থেকে। ১৯৫২ সালে যখন ভাষা আন্দোলন হলো, এ নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী। তার সেই বিখ্যাত কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ এই কবিতা কিন্তু সেই রাতেই আমার বাবার তত্ত্বাবধানে আমাদের প্রেস থেকেই ছাপা হয়েছিল। এটা আরেকটা ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের গৌরবের বিষয়। এই কাজের জন্য মূল্য দিতে হয় তাদের। গ্রেপ্তার করা হয় প্রেসের ম্যানেজারকে। ছয় বছরের সাজা হয় তার। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তি পান তিনি। তাই বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি, বাঙালির সাথে সবসময় আছি আমি ও আমার আজাদী পত্রিকা। প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, আসুন আমার বসন্তের এই রঙ আর বর্ণিলতা দিয়ে জাগতিক সকল কালোকে প্রতিহত করি। এরপর দলীয় আবৃত্তি, গান ও নাচ পরিবেশিত হয়।