ভারতজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত মোট দুই লাখ ২৪ হাজার ৩০১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে, এদের ৪৪৭ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (এইএফআই) দেখা গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। খবর বিডিনিউজের।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব মনোহর আগনানি জানান, টিকা দেওয়ার পর যে ৪৪৭ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দেখা দিয়েছে তাদের মাত্র তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রোববার মাত্র ছয়টি রাজ্য টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা করেছে এবং ৫৫৩টি সেশনে মোট ১৭ হাজার ৭২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।’ আগনানি জানান, ‘১৬ ও ১৭ জানুয়ারিতে মোট ৪৪৭ এইএফআই এর খবর পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এইএফআইয়ের যে প্রতিবেদনগুলো এসেছে সেগুলোর অধিকাংশই জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো মৃদু সমস্যা।’
ভারতে টিকাদান কর্মসূচিতে যেসব ডোজ ব্যবহৃত হচ্ছে, সবই ভারতে তৈরি হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীকে পরাজিত করার লড়াইয়ে আপাতত দুটি টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে তারা। একটি অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বানানো ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’, অপরটি ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাঙিন’। ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এ দেশের অন্তত ৩০ কোটি নাগরিককে আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। এই বিপুল চাহিদা মেটাতে আরো একাধিক কোম্পানির টিকার পরীক্ষা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়েও কাজ চলছে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মী টিকা নেয়ার ২৪ ঘণ্টা পর মারা গেছেন। তার বয়স ৪৬ বছর। জেলার প্রধান মেডিকেল অফিসার বলেছেন টিকা নেয়ার সাথে এই মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। উত্তর প্রদেশের সরকার বলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হার্ট এবং ফুসফুসের রোগজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এদিকে কলকাতায় ৩৫ বছর বয়সী একজন নার্স কোভিড ১৯ এর টিকা নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তিনি টিকা নেয়ার পর অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন ঐ নার্স কেন অজ্ঞান হয়ে পয়েছিলেন সেটা খতিয়ে দেখতে একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।