ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি হাইওয়ে টানেল ধসে প্রায় ৪০ শ্রমিক মাটির নিচে আটকে পড়ার সপ্তম দিনেও এখনো উদ্ধার কাজে উল্লেখ করার মত অগ্রগতি নেই। গত তিনদিন ধরে বিশালাকারের বিশেষায়িত এক ড্রিল মেশিন দিয়ে মাটি গর্ত করে শ্রমিকদের বের করে আনার যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল শুক্রবার সেটা আটকে গেছে। কারণ, ভেঙে গেছে ড্রিল মেশিনটি। শনিবার দ্বিতীয় আরেকটি ড্রিল মেশিন আসার কথা। সেটি আসলে পুনরায় ড্রিল কাজ শুরু হবে বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
ধসে পড়া টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি ছাড়াও বড় বড় বোল্ডার থাকায় ড্রিল কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শুক্রবার ভূগর্ভে ড্রিল মেশিনটি বন্ধ হয়ে গেলে উদ্ধারকর্মীরা সেটি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে। সে সময়ে বড় আকারের ফাটলের শব্দ শোনার পর তারা কাজ স্থগিত করে বলে রাষ্ট্র–পরিচালিত জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়। গত রোববার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মখাল–যমুনাত্রী জাতীয় মহাসড়কের অংশে নির্মাণাধীন ওই টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ে। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, টানেলটি ধসে পড়ার আগের রাতে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের পর যারা টানেলের বেরিয়ে যাওয়ার মুখে কাজ করছিলেন তারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু মাটির প্রায় ২০০ মিটার গভীরে কর্মরত ৪০ বা ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়ে যান। টানেলটি প্রায় ৪ হাজার ৫৩১ মিটার লম্বা। মাটি ধসে সেটির বেরিয়ে যাওয়ার মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে।