ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। মূলত ভারত প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম ৫৫০ ডলার বুকিং দর এবং ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দাম কমছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে আনুষাঙ্গিক খরচ যোগ করলে খুচরা পর্যায়ে একজন ক্রেতাকে সেই পেঁয়াজ কিনতে হবে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। লোকসান দেওয়ার ভয়ে অনেক আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। কারণ এই মুহূর্তে বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদাররা জানান, সম্প্রতি ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। তার ওপর ভারত রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়েছে। ভারত আমাদের দেশের পেঁয়াজের চাহিদা হিসেবে শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এখন ভারতের বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। এই মুহূর্তে কৃষকদের সহায়তা দিয়ে দেশী পেঁয়াজের ফলন বাড়ানো উচিত। কারণ কৃষক যদি পেঁয়াজ বিক্রি করে মুনাফা করতে পারে, তবে পেঁয়াজ চাষে উৎসাহী হবেন। এতে পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কমবে। পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিকভাবে আর উঠানামা করবে না। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আহসান খালেদ পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও শুল্ক আরোপ করেছে বেশি। এই মুহূর্তে তাই দেশী পেঁয়াজের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের দামও বেশি। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। দাম এখনো উঠানামা করছে। সেই হিসেবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম একপ্রকার স্থিতিশীল রয়েছে।