ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেইনে পৌঁছেছেন। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার সাক্ষাৎ হয়েছে। মোদী এই সফরকে ঘিরে শান্তি প্রতিষ্ঠারই বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ভারত হতে চায় শান্তির সেতু। কোনও পক্ষ তারা নিতে চায় না। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেইন সফর করছেন। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’–এ চড়ে শুক্রবার ইউক্রেইনে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতেই সেখানে মোদীর এই সফর। সেখানে তিনি ৭ ঘণ্টা অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় পত্রিকাগুলো। জেলেনস্কির সঙ্গে অবশ্য এর আগে একাধিকবার মোদীর কথা হয়েছে। কিন্তু এবার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিতেই মোদী ইউক্রেইনে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, গত ৮ জুলাই রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মোদী। তাই এবার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাশিয়ার শত্রুদেশ ইউক্রেইনে তিনি পা রাখলেন। যদিও সমালোচকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট রাখতেই তার এই সফর। মোদী এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে তিনি কিইভে পৌঁছেছেন। তার সফরকে স্বাগত জানিয়ে জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক বলেছেন, মোদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় থেকে বলা হয়েছে, রুশ–ইউক্রেইন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না ভারত। তবে শান্তি ফেরাতে দুই দেশের বার্তার সমন্বয় করার দায়িত্ব নিতে নয়াদিল্লি রাজি। তাই মোদীর কিইভ সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মোদীর কিইভ সফর গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাশিয়ার ওপর ভারতের কিছুটা প্রভাব রয়েছে।