ভাঙনে দুইভাগ সৈকতের বালিয়াড়ি

এম এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | শুক্রবার , ৩০ আগস্ট, ২০২৪ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ভাঙনে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি। সৈকতের কলাতলী পয়েন্টের প্রবেশ পথে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ঝুঁকি নিয়ে সৈকতে নামতে হচ্ছে পর্যটকদের। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত এক মাস থেকে এই ভাঙন দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত ভরাটে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ পথের সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। প্রবেশ পথ থেকে বালিয়াড়ি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। যা ছুঁয়েছে সাগরের পানি পর্যন্ত। মূল প্রবেশপথের এমন বেহাল দশা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আপাতত হাঁটাচলার জন্য দুই পাশে বস্তা দিয়েছেন। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। প্রবেশ পথের উভয় পাশে রয়েছে শামুকঝিনুক, ফুচকা, ফিশফ্রাইসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান। দোকানগুলো সব পর্যটক নির্ভর। চলাচলের রাস্তা না থাকায় পর্যটকেরা দোকানগুলোতে যাচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লোকসান গুণছেন বলে জানিয়েছেন। শামুকঝিনুক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাশেম জানান, গত এক মাস ধরে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে বিচ ম্যানেজমেন্ট কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যার কারণে প্রতিদিন এখানে পর্যটকেরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

পূর্ব পাশের ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানদার মো. ফরিদ বলেন, আমাদের দোকান ছিল সৈকতের আরও নিচে। কিন্তু ভাঙনের কারণে দোকান উপরে তুলে আনতে হয়েছে। রাস্তা ভাঙার পর ক্রেতা কমে গেছে। এতে প্রতিদিন আমাদের লোকসান হচ্ছে। ঢাকা আরামবাগ থেকে সৈকতে আসা নুরুল আলম সাগর বলেন, এমন সৈকত দেখব কল্পনা করিনি। সৈকতে ঢুকার সময় দেখি বড় বড় গর্ত। ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকম বালিয়াড়িতে নেমেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গণি ওসমানী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত ভাঙন ভরাট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একাট্টা চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ীরা