ভরা মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গভীর খাদে পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত। পর্যটক না আসায় এক মাসে এই খাতে ক্ষতি প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বেকার বসে আছেন হোটেল মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাসের প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।
সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও সারা বছর পর্যটকে মুখরিত থাকে খাগড়াছড়ির জনপ্রিয় সব পর্যটন কেন্দ্র। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে চলা সহিংসতা এবং পরবর্তী অস্থিরতার কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে আসে। এরপর ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়। খাগড়াছড়ির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা, রিসাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে কোনো পর্যটক নেই। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা জানান, পরিস্থিতির কারণে পর্যটক সংখ্যা খুবই কম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৯০ শতাংশ কম পর্যটক আসছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটক আসবে। তিনি বলেন, প্রচুর আর্থিক হয়েছে। আমাদের বেহাল অবস্থা। এখন পর্যটক নেই বললেই চলে। বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় চলা অচলাবস্থার কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি খাগড়াছড়ি আবাসকি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার। তিনি বলেন, সামপ্রতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের এখানে কোন পর্যটক নেই। আমরা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না।
গত ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সমপ্রীতি সমাবেশে পর্যটনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেয় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এরপর দুই সপ্তাহ পার হলেও সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি আগামী ৩১ অক্টোবর ২৪ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।