ভারতের ‘ব্ল্যাক লেডি’ ঘরে তুলে উচ্ছ্বসিত বাংলার জয়া, এটাই স্বাভাবিক। প্রথম নয়, দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রাপ্তি ঘটলো তার জীবনে। তবে দুটো প্রাপ্তিকেই আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন এই ‘দেবী’। ৩১ মার্চ রাতে কলকাতা শহরের অভিজাত এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস (বাংলা)-এর এবারের জমকালো আসর। যেখানে জয়া আহসান ছাড়াও অংশ নেন টলিউডের প্রায় সকল তারকা শিল্পী-নির্মাতা। এই রাতে ‘রবিবার’ ও ‘বিজয়া’ ছবি দুটির জন্য সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি হিসেবে ‘ব্ল্যাক লেডি’ পেয়েছেন জয়া আহসান। জানা গেছে, ফিল্মফেয়ারের ইতিহাসে এবারই প্রথম একসঙ্গে দুটো ছবির জন্য একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে পুরস্কৃত হলেন কেউ। এই পুরস্কার প্রাপ্তির টানা ৩দিন পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিলেন জয়া আহসান। জানালেন, দ্বিতীয়বার এই পুরস্কারটি ঘরে তোলার পরেও কেন এটি তার জীবনে বিশেষ ছাপ রাখলো। জয়ার ভাষায়, ফিল্মফেয়ারের কৃষ্ণ রমণী আবারও বাংলাদেশে এলো। অতিমারির বিষণ্ণ দিনে এই তো আনন্দ। যে কোনও পুরস্কারই এমন একটা মাইলফলক যা শিল্পীকে বলে, তুমি এটা পার হয়ে এগিয়ে যাও। যুক্ত করেন, পুরস্কারটা যখন এলো তখন মার্চ মাসের শেষ দিন। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের উদযাপন চলছে। মুক্তিযুদ্ধে রক্তের বন্ধনে বাংলাদেশভারত মৈত্রীর যে সূচনা হয়েছিল, এ বছরটি তারও সুবর্ণজয়ন্তী। আর ‘বিজয়া’ ছবির ভেতরে বয়ে চলেছে বাংলাদেশ আর ভারতের মানুষের ভালোবাসারই ঝরনাধারা। আমার করা এ ছবির পদ্মা চরিত্রটি বাংলাদেশের প্রাণের গভীর থেকে উঠে আসা। অন্য ছবি ‘রবিবার’-এর সূত্র টেনে জয়া বলেন, এটি একটি ওপেনুএন্ডেড ছবি। আমার করা সায়নী চরিত্রটি নাআলো নাঅন্ধকার। ঘটনা পর্দায় ঘটে না, ঘটে ওর মনে। তাই পুরো অভিনয়টাই ছিলো সেরিব্রাল। দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হলো আমার। সায়নী কতো কি যে শেখালো আমায়। আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানালেন দুই নির্মাতা ও দর্শকদের, ভালোবাসা কৌশিকদা আর অতনুদার জন্য। আর আনন্দ তাদের জন্য, যারা আমাকে এতদিন ধরে নিঃশর্ত ভালোবাসা আর অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে এসেছেন। সবাইকে নিয়ে আমার এই পথচলাতেই আনন্দ।
জয়া আহসান কলকাতায় এখন ব্যস্ত আছেন তার বেশ কয়েকটি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে। এরমধ্যে পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের ‘ওসিডি’ দিয়ে শুরু হয়েছে বছর। তাছাড়া তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট গল্পের কাহিনি নিয়ে নির্মিত ‘চালচিত্র’ নামের চলচ্চিত্রে কাজ করবেন। এটি পরিচালনা করছেন চিত্র ভানু বসু। কাজ করার কথা রয়েছে শিলাদিত্য মৌলিকের ‘ছেলেধরা’তেও। বাংলাদেশেও চলছে জয়ার বেশ ক’টি প্রজেক্ট। এরমধ্যে প্রযোজক হিসেবে শিগগিরই শুরু করবেন ‘ফুড়ুৎ’। শেষ করেছেন ‘বিউটি সার্কাস’, ‘পেয়ারার সুবাস’, হাসান আজিজুল হকের উপন্যাস ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে আকরাম খানের ‘নকশিকাঁথার জমিন’ এবং পিপলু আর খানের একটি নাম ঠিক না হওয়া ছবি।