নৌ পথে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও আশুগঞ্জের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বাড়াতে চলমান বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন প্রকল্প–১ এর ব্যয় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা বাড়ছে। একইসঙ্গে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও আশুগঞ্জের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বাড়ানোর জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করি। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনের নিরিখে অনেকগুলো আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে। আবার বিভিন্ন লট পরিবর্তন ও ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। তাই সার্বিকভাবে প্রকল্পটি সংশোধন করতে হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুরোধে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রকল্পটির জন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক দলিল প্রণয়নে কিছুটা সময় নিয়েছে। অন্যদিকে রেসপন্সিভ ঠিকাদার না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তাই এক বছর সময়ও বাড়াতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএর মহাপরিকল্পনার আওতায় গৃহীত এই প্রকল্পের কয়েকটি প্যাকেজ পুনর্বণ্টনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আবার অনেক প্যাকেজের মধ্যে আন্তঃখাত সমন্বয়ের দরকার ছিল। এসব মিলে প্রকল্পটি সংশোধন করতে হয়েছে।
প্রকল্প দলিলে দেখা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প ২০১৬ সালে অনুমোদন পায়। তখন প্রকল্পটি ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালে শেষ করার কথা ছিল। এখন নতুন সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যয় ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
কমানো হলো বিদেশ ভ্রমণের ব্যয় : বাংলানিউজ জানায়, একনেক সভায় গতকাল দুটি প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণ ব্যয় হিসাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা চাওয়া হলেও তা কমিয়ে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রকল্পে দুটি হলো আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন উন্নয়ন এবং মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফর বাবদ ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু একনেক সভায় আমরা কমিয়ে মাত্র ৭০ লাখ টাকা রেখেছি। এছাড়া মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি টাকা ভ্রমণ ব্যয় চাওয়া হয়েছিল। একনেক সভায় এ ব্যয় কমিয়ে দেড় কোটি টাকা রাখা হয়েছে।