আবেদন হওয়ার পর আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক আঙুল তুললেন বেশ কিছুটা সময় নিয়ে। তবে সাকিব আল হাসান রিভিউ নিতে সময় নিলেন না একদমই। উইকেটে সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক যা বলছিলেন, তাতে বোঝা যাচ্ছিল, তিনি নিশ্চিত যে বল ব্যাটে লেগেছে। রিভিউয়েও সেটাই দেখা গেল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে তৃতীয় আম্পায়ার দিলেন আউটের সিদ্ধান্ত! অ্যাডিলেইডে গতকাল রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে প্রথম বলেই আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ইনিংসের একাদশ ওভারে শাদাব খানের বলে সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর ক্রিজে যান সাকিব। প্রথম বলেই ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে ক্রিজ ছেড়ে একটু বেরিয়ে ফ্লিকের মতো করতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। খবর বিডিনিউজের।
সাকিব রিভিউ নেওয়ার পর প্রথম রিপ্লেতেই আল্ট্রা এজ-এ ধরা পড়ে, বল লেগেছে ব্যাটে। সাকিব আবার ক্রিজে গিয়ে প্রায় স্টান্স নিয়ে ফেলেন। পাকিস্তানি ফিল্ডাররাও যার যার পজিশনে যেতে শুরু করেন। কিন্তু টিভি আম্পায়ার জিম্বাবুয়ের ল্যাংটন রুজেরে মনে করেন, আল্ট্রা এজ-এ যা ধরা পড়েছে, ওটা আসলে পিচে সাকিবের ব্যাট লাগার কারণে। সেই ধারণা থেকেই তিনি রিভিউয়ের পরের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যান। বল যেহেতু স্টাম্পে লাগছিল, সাকিবকে দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
আম্পায়ারের আঙুল তোলা দেখে সাকিব কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে যান। দু হাত বাড়িয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। ক্রিজে তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। উইকেট ছাড়তেই চাচ্ছিলেন না। পরে মাঠের আম্পায়ারদের কাছে গিয়ে কিছু জানতে চান। এক পর্যায়ে মাঠ তো ছাড়তেই হয়। টিভি ধারাভাষ্যে আতহার আলি খান বলেন, তিনি নিশ্চিত নন যে এটা আউট। পরমুহূর্তেই রিপ্লেতে দেখা যায়, সাকিবের ব্যাট ও পিচের মধ্যে পরিষ্কার ব্যবধান ছিল। একবার নয়, বারবার রিপ্লেতেই তা ফুটে ওঠে স্পষ্টভাবে। আতহার আলি খান এবার বলেন, ‘অবিশ্বাস্য।’