ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি

নগরে প্যাডেল রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে নগরে বিক্ষোভ করেছে প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। গতকাল সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন সড়কে রিকশাসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবিব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ। এসব অবৈধ রিকশার জন্য তাদের আয় কমে গেছে। যে কোনো মূল্যে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে দেবে না বলেও ঘোষণা দেন তারা।

সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, কাজীর দেউড়ি থেকে নূর আহমদ সড়ক হয়ে নিউমাকের্ট, আন্দরকিল্লাহ, চেরাগী পাহাড়, জামালখানসহ নগরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করে রিকশাচালকরা। চেরাগী পাহাড় ও কাজীর দেউড়ি মোড়ে সড়কে রিকশা ফেলে অবরোধ করা হয়। রিকশাচালকরা অবস্থান নেয়ায় কয়েক জায়গায় যানজট সৃষ্টি হয়। নইম নামে এক রিকশাচালক বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে বাংলা রিকশায় (প্যাডেলচালিত রিকশা) যাত্রী কম পাওয়া যায়। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য আমরা সাধারণ রিকশাচালকরা কষ্টে আছি। মোজাম্মেল নামে এক রিকশাচালক বলেন, ব্যাটারি রিকশার জন্য বিদ্যুতের অপচয় হয়। সেগুলো বন্ধ করতে হবে। হিরু নামে এক চালক বলেন, পেটের দায়ে অনেক কষ্টের মধ্যেও প্যাডেল রিকশা চালাই। কিন্তু ব্যাটারি রিকশার জন্য আমাদের আয় কমে গেছে। ঘর ভাড়া দিতে পারছি না, খেতে পারছি না। সেলিম নামে এক রিকশাচালক বলেন, ব্যাটারি রিকশাচালকদের জন্য আয় কমে যাচ্ছে আমাদের। আমরা যাত্রীর সাথে কথা বলার সময় তারা এসে নিয়ে যায়। তারা ৫০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা, ৭০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা মারে। আমরা আর যাত্রী পাই না। আমাদের দাবি ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করতে হবে।

হায়দার নামে এক চালক বলেন, ভোরে বের হয়েছি। এখন ১২টা বাজে, ৬০ টাকাও কামাতে পারিনি। তারা (ব্যাটারি রিকশা) গলির ভেতর থাকুক, মেইন রোডে যেন আসতে না পারে। রফিক নামে এক চালক বলেন, গত একদেড় মাস ধরে মেইন রোডে ব্যাটারি রিকশা বেশি চলছে। আগে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ধরত। এখন ধরে না। তাই তারা সুযোগ পেয়েছে। তাদের জন্য আমাদের ইনকাম কমে গেছে। আগে ৫০০৬০০ টাকা আয় হত, এখন ২৫০৩০০ টাকাও হয় না। ব্যাটারি রিকশা অবৈধ। এগুলো বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। সেগুলো কীভাবে চলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে আটকা সাবেক এমপিদের ৫২ বিলাসবহুল গাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়ির বন্যাদুর্গতদের মাঝে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের খাদ্য সহায়তা