ঈদ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকে গতকাল রোববার ছিল গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। এ সময় গ্রাহকদের সেবা দিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রায় ব্যাংকে গ্রাহকের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। তবে এ সময় স্বাস্থ্যবিধির প্রতি গ্রাহকরা উদাসীন ছিলেন। কেউ কেউ মাস্ক সঠিকভাবে না পরে থুতনির নিচে নামিয়ে রাখেন। যদিও ব্যাংকে প্রবেশের সময় হাতে স্প্রে করার পর প্রবেশে অনুমতি দেন ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। বেশিরভাগ গ্রাহকই নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছেন। ঈদ যেদিনই হোক, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংকের এটিএম ব্যাংকের পর্যাপ্ত নগদ টাকা রাখা হবে। এতে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গতকাল নগরীর ব্যাংকপাড়া খ্যাত আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, জিইসি মোড় ও আন্দরকিল্লার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, প্রতি বছর ঈদের ছুটির আগে ব্যাংকে গ্রাহকের চাপ বাড়ে। টাকা জমা দেওয়ার তুলনায় উত্তোলনই বেশি হয়।
আন্দরকিল্লা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শাখার গ্রাহক আরিফ আহমেদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাই প্রয়োজনীয় খরচের টাকা তুলতে এসেছি। ব্যাংকে প্রচুর চাপ। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আজ শবে কদরের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংকের শাখা আজ ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলা হয়েছে।