সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের একজন ক্যাশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। রেশমা আক্তার নামের ওই ক্যাশ অফিসার মীরসরাইয়ের হাদি ফকিরহাটের পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীর হালিশহর হাউজিং এস্টেটে বসবাস করছেন। তার স্বামীর নাম মো. রেজাউল করিম হায়দার।
গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ মাহমুদা আক্তার। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার ২০১৯ সালের ১৫ মে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০ টাকার স্থাবর ও ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৮৬ লাখ ৭৫৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০ টাকার স্থাবর ও ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪২ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৯৪ লাখ ১১ হাজার ৯০২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৫ টাকার সম্পদের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও তিনি ৯ লাখ ৪১ হাজার ৪২০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন। তার নামে মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩২২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত সম্পদ বিবরণীর বিপরীতে তার ৭৯ লাখ ১৫ হাজার ৫১৮ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে রেশমা আক্তারের অর্জিত সম্পদের চেয়ে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮০২ টাকা আয়ের উৎস কম পাওয়া যায়। উক্ত ২৪ হাজার ৩৭ হাজার ৮০২ টাকার সম্পদ তিনি তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলা তদন্তকালে রেশমা আক্তারের এই কাজে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেওয়া হবে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।