ব্যর্থতা মেনে ক্ষমা চাইলেন শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ২৬ জুন, ২০২৪ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে সাত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে তিনটি ম্যাচে। জয়ের সংখ্যা হিসেব করলে আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম খেলল সেরা আটে। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বিশেষ করে, ব্যাটিং বিভাগ ছিল খুবই নড়বড়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতা মাথায় নিয়েই শেষ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করল টাইগাররা। হতাশায় ভরা এই বিশ্বকাপে নিজেদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নিয়ে কয়েকবার ‘সরি’ বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও আফগানিস্তান ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ছিল সেমিফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারলনা বাংলাদেশ।

পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই চরম ব্যর্থ বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের মাত্র দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস এটি। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া দুটি করে চল্লিশছোঁয়া ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। এতেই স্পষ্ট দলের ব্যাটিংয়ের সামগ্রিক চিত্র। সাত ম্যাচ মিলিয়ে একশর বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু চার ব্যাটসম্যান। ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৫৩ রান নিয়ে সবার ওপরে হৃদয়। বাকি স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট ১১০ও ছুঁতে পারেনি। লিটন, শান্ত, তানজিদ হাসান, মাহমুদউল্লাহরা তো ব্যাট করেন একশরও নিচে স্ট্রাইক রেটে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতার ছাপ পড়েছে দলের স্কোরেও। সাত ম্যাচে মাত্র একটিতে দেড়শ ছুঁতে পেরেছে বাংলাদেশ। সেটিও তুলনামূলক দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১০ রানও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বিশ্বকাপের পুরো যাত্রা সম্পর্কে বলব, আমরা দল হিসেবে বাংলাদেশের সব সমর্থককে হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা অনুসরণ করেন, সবসময় অনুসরণ করেন তাদের ‘লেট ডাউন’ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি । আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা সরি। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি। হতাশার মাঝেও ইতিবাচক হিসেবে বলা যায় লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের কথা। প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে লেগ স্পিনার খেলানোর সুফল পুরোটাই পেয়েছে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে তরুণ লেগ স্পিনারের শিকার ১৪ উইকেট। ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা। তারা সবাই খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এরকম একটা টুর্নামেন্টে এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। তবে ব্যাটিং দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে আমরা দিন শেষে পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে সরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রেম টেকে না তৌসিফ তটিনীর!