ব্যবসায়ীরা তার ভালোটা বোঝেন

শেখ হাসিনাকে সমর্থনের ব্যাখ্যায় জসিম

| সোমবার , ১৭ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে আবার চান, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা তার ভালোটা বোঝেন। আবার শেখ হাসিনাই পরীক্ষিত। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য তাকেই দরকার। শনিবার ব্যবসায়ীদের এমন সমর্থনের খবরে আলোচনা তৈরির পরদিন সেই বক্তব্যের এমন ব্যাখ্যা আসে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের উপস্থিতিতে এক আয়োজনে।

গতকাল ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা তাকে (শেখ হাসিনা) সমর্থন দিয়েছেন স্থিতিশীলতার জন্য। আমরা দেখব, পরীক্ষা করব ওই সময় নাই কিন্তু। আজকে যুগ চেইঞ্জ হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়েছে। সুতরাং আমাদের পরীক্ষা করার সময় নাই। পরীক্ষিত যিনি আছেন তাকেই আমরা চাই। এজন্যই কালকের ওই প্রোগ্রামটা ছিল। খবর বিডিনিউজের।

ব্যবসায়ীদের ওই সম্মেলনের পরের দিন গতকাল বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আগের দিনের চাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন জসিম উদ্দিন। আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)। এতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয় শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ব্যবসায়ীদের কথা শুনেছেন। আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একত্রে একটানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় দেওয়াএটা বিরল, আমার মনে হয় রেকর্ড হতে পারে। উনি তো চাচ্ছেন দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যাটা কী, সম্ভাবনা কীব্যবসায়ীরা কিন্তু তার ভালোটা বোঝেন। ব্যবসায়ীরা উনাকে সমর্থন দিয়েছেন, উনি যেন আবার প্রধানমন্ত্রী হন এই সমর্থনও দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখছে। ওই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে স্মার্ট শিল্প স্থাপন করতে হবে এবং স্মার্ট শিল্প চালানোর জন্য স্মার্ট ও দক্ষ শ্রমিক দরকার হবে। সেই প্রয়োজন মেটাতে স্মার্ট ও দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। আমি মনে করি সরকারি যে সকল ডিপার্টমেন্ট আছে তাদের মানসিকতার মধ্যেও স্মার্টনেস আনতে হবে।

সরকার এবং বেসরকারি খাতকে এক হয়ে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সরকারের সকল সেক্টর এবং বেসরকারি সেক্টর সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দু পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক হবে পার্টনারের মতো কর্তৃত্বের মতো না, আমাদের ওই মানসিকতা থেকেও বের হতে হবে।

দেশে আধুনিক শিল্পে বিনিয়োগের পাশাপাশি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রেও কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের এক কোটি প্রবাসী বিদেশ থেকে ২২/২৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠায়। অথচ আমরা বিদেশি বিশেষজ্ঞের নামে ১০/১২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর থেকেই ভারতীয় কিংবা শ্রীলংকানরা প্রচুর ডলার নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমাদের প্রচুর ডলারের প্রয়োজন। এ কারণে দেশের বড় বড় শিল্পের সঙ্গে বসে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ লোকবল গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ
পরবর্তী নিবন্ধ৩৯ কেজি গাঁজাসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার