চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার মেসার্স ডায়াহান এক্সিমের বিরুদ্ধে দাবিনামা ও অর্থদণ্ডসহ প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দেন। আদেশের বিরুদ্ধে ডায়াহান এঙিমের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বেলাল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইবুনালে আপিল করলে আপিলাত ট্রাইব্যুনাল গত ২১ মে চট্টগ্রাম ভ্যাটের আদেশটি বাতিল করে নথিপত্র যাচাই বাছাই করে পুনঃআদেশের জন্য প্রেরণ করেন। এই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস এঙাইজ ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ আপিল মামলাটি পুনঃআদেশের জন্য সম্প্রতি তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটির সদস্যের মধ্যে রয়েছেন– কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের সদর দপ্তরের সহকারী কমিশনার মো. আইয়ুব, অডিট শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরান হোসেন এবং অডিট শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হরুন অর রশিদ। কমিটির সদস্যদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সহকারী কমিশনার মো. আইয়ুব বলেন, আমরা আমদানিকারকের কিছু কাগজপত্র চেয়েছি। সেগুলো পাওয়ার পরেও যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
ডায়াহান এক্সিমের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বেলাল বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আমার বিরুদ্ধে যে আদেশ দিয়েছেন, সেটি আপিল ট্রাইব্যুনালে বাতিল হয়ে গেছে। তাই আমি আপিলের জন্য ট্রেজারি চালানে জমা দেয়া ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করেছি। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে আমার প্রতিষ্ঠানের লক করা বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিন) খুলে দেয়ার জন্য বলেছি। কারণ বিন লক করার কারণে আমি ব্যবসা করতে পারছি না। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।