ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসছে আরো ৮শ ইএফডি মেশিন

ভ্যাট ফাঁকি রোধ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ জুন, ২০২২ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ে গতি আনতে এবং ভ্যাট ফাঁকি রোধে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আরো ৮০০ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন স্থাপন করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ইতোমধ্যে ভ্যাট কমিশনারেটের অধীনে ৮ বিভাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ভ্যাট কর্মকর্তারা জানান, ইএফডি মেশিন এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকার ফলে ক্রেতা মূল্য পরিশোধের সময় সাথে সাথে আরোপিত ভ্যাট আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কেনাকাটার সময় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভ্যাট আদায়ের ফলে রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।

নগরীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যখন ভ্যাট দিই, আমাদের সন্দেহ করা হয়। বলা হয়, আমরা ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছি। এই মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাবে। এতে সন্দেহ দূর হবে। তবে সবাইকে ইএফডি মেশিনের আওতায় আনতে হবে। একটি শপিং সেন্টারের অর্ধেক দোকান মেশিনের আওতায়, বাকি অর্ধেক যদি দেয়া না হয় তবে গ্রাহকরা স্বাভাবিকভাবে যে দোকানে ইএফডি মেশিন নেই সেখানেই যাবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার আকবর হোসেন আজাদীকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫০টি ইএফডি স্থাপন করা শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৫০০টি ইএফডি মেশিন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া আমরা মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালিয়ে আরো ৮০০টি ইএফডি মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে এনবিআরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সেগুলো শিগগির চলে আসবে আশা করি। মেশিন এলে স্থাপনের কাজ শুরু করে দেব। পাশাপাশি ইএফডি মেশিনকে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতি মাসের ৫ তারিখ এনবিআর চার ক্যাটাগরিতে লটারির মাধ্যমে ১০১টি পুরস্কার দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। ক্রেতারা পণ্য কিনে যেন ভ্যাট চালানটি বুঝে নেন।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ইএফডি বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রামে এর আগে দুই দফায় ৫২০টি ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়। এছাড়া তৃতীয় দফায় ৫০০টি স্থাপনের কাজ চলমান আছে।

উল্লেখ্য, ইএফডি মেশিন বাধ্যতামূলক এমন ২৫ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুডের দোকান, ডেকোরেটার্স ও ক্যাটারার্স, মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ ও ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, সামাজিক ও খেলাধূলা বিষয়ক ক্লাব, তৈরি পোশাকের দোকান, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, শপিং সেন্টার ও শপিং মলের সব সেবা প্রদানকারী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর ও সুপারশপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসা (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক লন্ড্রি, সিনেমা হল ও সিকিউরিটি সেবা, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টান্ন ভান্ডার; স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার এবং সোনা-রুপার দোকানদার, স্বর্ণ পাকাকারী, আসবাব বিক্রয়কেন্দ্র, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, বিউটি পার্লার, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার এবং কোচিং সেন্টার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবানভাসিদের কষ্ট বাড়াচ্ছে বৃষ্টি
পরবর্তী নিবন্ধদেশে দৈনিক করোনা শনাক্ত বেড়ে ছয়শর কাছাকাছি