পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একটি মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন পুলিশ অফিসারসহ অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। গতকাল শুক্রবার বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং জেলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিছিলের জন্য লোকজন জড়ো হলে সেখানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের পত্রিকা ডন এ খবর দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। এদিকে পৃথক বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও) আব্দুর রাজ্জাক শাহি হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিটি স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সিইও ডা. মিরওয়ানি নিশ্চিত করেছেন, এখন পর্যন্ত ২৮টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ২২ জনকে মাস্তুং জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে কয়েক ডজন চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং আহত ২০ জনেরও বেশি লোককে চিকিৎসার জন্য কোয়েটায় রেফার করা হয়েছে। হাসপাতালের সিইও বলেন, মৃতদেহ ও আহতদের সরানোর প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আলফালাহ রোডের মদিনা মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শোভাযাত্রার জন্য লোকজন জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
পুলিশের উপ–মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মুনির আহমেদ বলেন, মোহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রার জন্য জড়ো হওয়া একটি মসজিদের কাছে বোমা হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক–ই–তালিবান পাকিস্তান এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। বিস্ফোরণের পর প্রকাশিত অযাচাইকৃত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত লাশ এবং ছিন্নভিন্ন অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
আরেক বোমা হামলায় নিহত ৫ : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ারের হাঙ্গুর দোয়াবা থানার এলাকার একটি মসজিদে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকা এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখোয়ারের তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ জামাল।
মন্ত্রী বলেন, দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি গাড়িতে এসে মসজিদের প্রবেশদ্বারে পুলিশ অফিসারদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। একজন হামলাকারী মসজিদের বাইরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। অন্যজন মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হন।