চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, মালিক ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। তাদের সম্পর্ক হবে ভাইয়ের মতো। শ্রমিক মালিকের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আর মালিক থাকবে শ্রমিকের প্রতি সহানুভূতিশীল ও জনদরদি। মালিক শ্রমিককে কখনো শোষণ, নির্যাতন বা নিপীড়ন করবে না এবং সাধ্যাতীত কোনো কাজের বোঝাও তার ওপর চাপিয়ে দেবে না। অকারণে বা ছল–ছুতা ও মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করে তাদের অসহায়ত্বের দিকেও ঠেলে দিতে পারবে না। শ্রমিক ও কর্মচারীরা মালিক পক্ষের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। বিএনপি সবসময় শ্রমিক–কর্মচারীর নায্য মজুরি ও যৌক্তিক দাবির পক্ষে ছিল। তেমনি ব্যবসায়ী সমাজের যেকোন সমস্যায়ও তাদের পাশে ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্র–জনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই সকলের স্বার্থ রক্ষা হবে।
গত রোববার সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ মির্জাপুল এলমুনিয়াম ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মচারী নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. রাজন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আলী সাকি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সত্যজিৎ বড়ুয়া রুপু, মো. জাবেদ, সোলাইমান হোসেন মনা, সানি আহমেদ, আব্দুল মান্নান, বদিউল আলম, মো. ফোরকান, মো. জুয়েল মিয়া, মো. সেলিম, মো. মোবারক, স্বপন বাবুর্চি, মো. আনোয়ার, মো. জুয়েল, মো. ইকবাল, মো. মকবুল, মো. জুয়েল, মো. আল আমিন, মো. জুয়েল, মো. খায়ের প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।