বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ, দামও কমেছে

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এর প্রভাবে দীর্ঘদিন উত্তাপ ছড়ানোর পর গত এক সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি বোঝাই ট্রাকের প্রবেশ বেড়েছে। এছাড়া স্থানীয় উপজেলাগুলো থেকেও নগরীর বাজারগুলোতে সবজির সরববরাহ বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে সরবরাহ বাড়লে বাজারের দাম কমবে। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন সব সবজির দাম কেজি ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা এবং বাধাঁকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে শসা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে গিয়ে ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ১০ টাকা কমে বিক্রি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, দেশি টমেটা ১শ টাকা, ভারতীয় টমেটো ১১০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া পাকা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায়, ঢেড়শ ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ তৈয়বুল আজম বলেন, বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় সবজির বাজার চড়া ছিল। বৃষ্টির কারণে কৃষকের সবজির ফলনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এবার শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। এবার শীতকালীন সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা প্রচুর পরিমাণে সবজি আসছে। বাজারে এখন সরবরাহ ঘাটতি নেই। যার ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম নিম্নমুখী।
এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, আমাদের দেশে সবজির বাজার সব সময় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারা সুযোগ বুঝে দাম বাড়ায় আবার কমায়। এক সপ্তাহ কম থাকলে দেখা যায়, পরের সপ্তাহ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে এদের অজুহাতেরও শেষ থাকে না। কখনো বৃষ্টি অজুহাত কখনো আবার বন্যার। মাঝখানে সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটা যায়। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। অভিযোগের প্রমাণ স্বাপেক্ষে জরিমানাও করা হয়। জরিমানা দেয়া শেষ হলে তারা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যায়। কেবল জরিমানা দিয়ে পার পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা একই অপরাধ বারবার করার সাহস পায়। প্রশাসনের কাছে একজন সাধারণ ভোক্তা হিসেবে অনুরোধ থাকবে, সবজির বাজারে যাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ
পরবর্তী নিবন্ধআলী যাকেরকে স্মরণ