বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ, দামও কমছে

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ার কারণে দামও নিম্নমুখী রয়েছে। একই সাথে বাজারে আসছে দেশী পেঁয়াজও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয় সরকার। ফলে ব্যবসায়ীরা আইপি নিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করা এসব পেঁয়াজ ইতোমধ্যে সারাদেশে পাইকারী বাজারগুলোতে প্রবেশ করেছে।

গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি(তাহেরপুরী), বারি(রবি মৌসুম), বারি(খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।

পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভরশীল। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের প্রায় আড়তদার কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। অর্থাৎ পেঁয়াজ আমদানিকারক যে দাম নির্ধারণ করে দেন, সেই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেন তারা। এর বিনিময়ে কেজিপ্রতি তারা নির্ধারিত একটি কমিশন পেয়ে থাকেন। তাই আড়তদারদের পক্ষে দাম উঠানামা করার কেনো সুযোগ নেই। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া বাজারে দেশী পেঁয়াজেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ারও আশঙ্কা নাই। বরং সামনের দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে।

আলী আজগর নামেরভোক্তা জানান, দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের পরেও দাম বেড়েছে। কৃষকের কথা চিন্তা করে সরকার বিদেশ নিয়ে পেঁয়াজ বন্ধ রাখলেও প্রকৃতপক্ষে কৃষকরা এর সুফল পাচ্ছেন না। মুনাফার বেশিরভাগই পাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা পেঁয়াজ কিনে কৃত্রিম সংকট তৈরি দাম বৃদ্ধি করে। তাই প্রশাসনকে বিষয়গুলোর দিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় পুলিশের সোর্স দিয়ে ফেনসিডিল পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধপিলেট ও বুলেট বিদ্ধ রোগীদের রক্তস্নাত ভয়াবহতার সাক্ষ্য দিলেন চিকিৎসক