আজাদীসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় ইদানীং আবারো কিশোর গ্যাং আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝে কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। পুলিশও কিশোর গ্যাং লিডারসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল। সাধারণ জনগণ এই অভিযানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কিশোররা এমন লোমহর্ষক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে যা এক কথায় অকল্পনীয়। দেখা যাচ্ছে, নগরীতে পাড়ায় পাড়ায় একটা কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কথিত বড় ভাইদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও এলাকা ভিত্তিক গড়ে উঠেছে ছোট বড় শতাধিক কিশোর গ্রুপ। এসব গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্যদের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। কথিত বড় ভাইদের প্রশ্রয়েই বিপথগামী হচ্ছে এসব কিশোর উঠতি যুবকেরা। হঠাৎ করে কেন এসব উঠতি বয়সী কিশোর অপরাধ জগতে পা বাড়াচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। কিশোর অপরাধ রোধে মা–বাবার ভূমিকাই বড়। ছেলে–মেয়ে কোথায় যাচ্ছে? কার সঙ্গে মিশছে? পড়াশোনা করছে কিনা? ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে কিনা? এসব দেখার দায়িত্ব বড়দের। কিশোরদের সচেতন করার জন্য মা–বাবার চেষ্টা অবিরত রাখতে হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ দৃঢ় থাকলে সাংস্কৃতিক চেতনায় আলোকিত হলে একজন ছেলে বা মেয়ে সহজে বিপথে যেতে পারে না।
এম.এ. গফুর
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।