পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং কন্যাদের ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার হাইকোর্টে জমা দেওয়া সংস্থাটির অগ্রগতি প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে উপস্থাপনের জন্য হলফনামা করে জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কার্যতালিকায় এলে সোমবার (২৯ জুলাই) প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। খবর বাংলানিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর চারদিনে বেনজীর পরিবারের ১০টি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত দলিল প্রদর্শিত মূল্যের হিসাবে এ পরিবারের ৪৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর বাইরেও আরও জমি–ফ্ল্যাটের তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে দুদক বলেছে, কোথাও মূল্য উল্লেখ না থাকায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। তবে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সম্পদের তথ্য চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কার্যালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সরকারি–বেসরকারি ৪৬টি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।