বেতন বৃদ্ধির দাবি, ভাঙচুরের চেষ্টা, মালিকদের উদ্বেগ

ইপিজেডে কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় গতকালও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। এই সময় শ্রমিকেরা ভাঙচুর করারও চেষ্টা করে। শিল্প পুলিশের পদক্ষেপে বড় ধরণের অঘটন না ঘটলেও সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পুরো বিষয়টির পেছনে ইপিজেড এর বাইরের একটি চক্রের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেন। অবশ্য বেপজা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে।

বেপজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মজুরি বৃদ্ধির ইস্যুতে ইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। সরকার নির্ধারিত মজুরি পরিশোধ করা হলেও কিছু কিছু কারখানার শ্রমিকেরা বাড়তি সুবিধার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ইপিজেড এর কারখানাগুলোতে ১২ হাজার ৮শ’ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে দেয়। এর বাইরে টাইম স্কেলের মতো একটি বাড়তি সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়। শ্রমিকদের চাকরির বয়সকালের উপর ভিত্তি করে এই বাড়তি সুবিধা নির্ধারণের স্বাধীনতা দেয়া হয় কারখানা মালিকদের। এই নির্দেশনা অনুযায়ী বড় কারখানাগুলো যে পরিমাণ সুবিধা দেয় ছোট কারখানাগুলোর পক্ষে সে পরিমাণ সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ছোট কারখানার শ্রমিকেরা বাড়তি সুবিধার দাবিতে অসন্তোষ শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে গুজব ছড়ানোরও চেষ্টা চলে।

এরই জের ধরে গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম ইপিজেডের অনেকগুলো কারখানায় অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকালও কয়েকটি কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানার পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা শ্রমিকদের সুশৃংখলভাবে চাকরি করার জন্য অনুরোধ করেছি। আজও কয়েকটি কারখানায় গণ্ডগোলের চেষ্টা করা হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

গতকাল একাধিক কারখানা মালিক বলেছেন, পরিস্থিতি বেসামাল করার জন্য একটি মহল চেষ্টা করছে। ইপিজেড এর বাইরের কোন মহল সুকৌশলে শ্রমিকদের ব্যবহার করছে। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে বেপজা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৃষিজমির টপসয়েল কাটায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধনজীর ভাণ্ডারে ওরশ কাল