করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ ৬ মাস বেকার থাকার পর কুমিল্লায় একটি দোকানে চাকরি নিয়েছিলেন মো. ইদ্রিছ (৫৩)। ১ মাস চাকরি করার পর বেতন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না ইদ্রিছের। তার আগেই গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাউজান দমদমা এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নিহত ইদ্রিছ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
তার ছেলে মো. ইউনুস আজাদীকে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন কলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করছিলেন। করোনাকালীন সময়ে সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৬ মাস বেকার থাকার পর গত ১ মাস আগে কুমিল্লায় একটি দোকানে চাকরি নেন আমার বাবা ইদ্রিছ। চাকরির বেতন পেয়েই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার আগে পরিবারের জন্য ফুলঝাঁড়ু, নাতনিদের জন্য খেলনাসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা বাবার জীবন কেড়ে নেয়। নিহত ইদ্রিছের চাচাতো ভাই মো. ইসহাক বলেন, বুধবার মাগরিবের
নামাজের পর মরিয়মনগর মাইজপাড়া জামে মসজিদ মাঠে তার নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। উল্লেখ্য, রাউজানে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ইদ্রিছসহ ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি বালিবাহী ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।