বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে গেছে পণ্যবাহী ট্রাক। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি-রামুর গর্জনিয়া বাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।
জানা যায়, ট্রাকটি ব্রিজের উত্তরাংশের রেলিংয়ে ধাক্কা দিলে উল্টে গিয়ে ২০ ফুট নিচে খালে পড়ে যায়। খালে পানি বেশি না থাকায় মানুষ ও মালামালের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনার পর নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দুই কিলোমিটার দূরের রূপনগর নারিকেল বাগান ব্রিজ হয়ে গর্জনিয়া বাজার যাচ্ছে। লোকজন পার হচ্ছে হেঁটে। স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সুফিয়ান জানান, ট্রাকটিতে তার দোকানের বিভিন্ন মালামাল বোঝাই ছিল। ড্রাইভার তার কথা না শুনে ব্রিজ দিয়ে পার হওয়ার সময় ট্রাকটি (চট্টমেট্রো-ট-১১৯৫৯০) উল্টে খালে পড়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। চালক বাবুলের বাড়ি নোয়াখালী বলে জানা গেছে। বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হয় ১৯৯০ সালে। এরপর দুই বার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের সতর্কতামূলক কোনো সাইনবোর্ড নেই।
ব্রিজ সংলগ্ন ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শাহ আবদুুল আজিজ আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকটি দিনের বেলায় ঢুকতে পারবে না জেনে বিজিবিকে ফাঁকি দিতে রাত ৩/৪টায় পার হতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, বিজিবি জনস্বার্থে দীর্ঘদিন বীজটির তদারকি করে আসছিল। বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন ঘটনাস্থলে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছি।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানান, বেইলি ব্রিজটি ভেঙে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের একটি প্রস্তাবনা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম জোনের সবগুলো বেইলি ব্রিজ ধাপে ধাপে পাকা ব্রিজে রূপান্তরিত হবে বলে জানান তিনি।