বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চিলতে চাঁদের হাসি
বিষম ভালোবাসি
রোজার শেষে এমন হাসির অপেক্ষাতে থাকি
চাঁদ মামাকে ডাকতে মামা দেই না মোটে ফাঁকি।
সময় মতো উঠল মামা কিন্তু শুনি কাল
মনটা হলো লংকা-বেজার, আর কী খুশির ফাল
মনটা দিয়ে শোনো বাহে
কেউ যাবে না ঈদগাহে
নামাজ হবে গলি-পাড়ার মসজিদে মসজিদে
ঈদের নামাজ ঈদগাহ ছাড়া খোশ লাগে কী হৃদে?
আরও আছে শাহি এলান নামাজ পড়ার পরে
সোজা সাপটা ফিরতে হবে বাসা কিংবা ঘরে
নো মোলাকাত, কোলাকুলি
কথাবার্তা মুখোশ খুলি
কুশল হবে দুইয়ের মাঝে ঠিক দূরত্ব রেখে
হাঁচি কাশি রাখতে হবে কনুই দিয়ে ঢেকে।
থাকলো কী আর ঈদের?
বলল বাবা রাগ করিস না! কাটবে গ্রহণকাল
তখন দেখিস সবাই মিলে মারব যে এক ফাল
সেই ফালে ঠিক কুড়িয়ে নেব দুটো ঈদের সুখ
আঁধার কেটে উঠবে সুরুজ–বেঁধেছি তার বুক।