বে-টার্মিনাল চালু হলে গতিশীল হবে অর্থনীতি

প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেছেন বলেই বে টার্মিনাল বাস্তবায়িত হচ্ছে। রিং রোড বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু উন্নয়নের ফলে পুরো এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। এ রকম বড় বড় স্বপ্ন আগে কখনো কেউ দেখেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বে-টার্মিনাল চালু হলে দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সাথে বাড়বে কর্মসংস্থান। চট্টগ্রাম সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল (শুক্রবার) সকালে তিনি নগরীর হালিশহরে আগামী একশ’ বছরের বন্দর হিসেবে খ্যাত হওয়া বে টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এই মেগা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে ড. আহমদ কায়কাউস আরো বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে বে টার্মিনাল দৃশ্যমান হয় সরকার সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
এই সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বে টার্মিনাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি। এখন দ্রুততম সময়ে কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে আমরা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর বে টার্মিনালের হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান এবং প্রকল্পের ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।
এই সময় মুখ্য সচিবকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ হলেও উপকূলীয় এলাকার বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকায় এ ধরনের ঝুঁকি নেই। যা ফিজিবিলিটি স্টাডিতে উঠে এসেছে। বন্দরের বর্তমান জেটিতে জাহাজ ভিড়ানো জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করলেও বে টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা এবং চ্যানেলে এক সঙ্গে চারটি জাহাজ পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে। তিনটি টার্মিনালের মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে আট বছরে এবং কন্টেনার টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে ১১ বছরে উঠে আসবে। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ চাহিদাকে মাথায় রেখে অন্যান্য সব সুবিধা ছাড়াও ট্রাক টার্মিনাল ও আলাদা ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ পরিকল্পনায় রয়েছে। পুরো বিষয় সম্পর্কে অবগত এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে মুখ্য সচিব সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসময় নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সুলতান আবদুল হামিদ, যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া ও সালাউদ্দিন আহমেদ, বন্দরের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, এসএম সাইফুল ইসলাম ও সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, বে-টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল হবে। একটি নির্মাণ করা হবে বন্দরের অর্থায়নে। সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। আগামী ২০২৪ সালে বে টার্মিনালে জাহাজ ভিড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাট্টলীতে হবে চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর
পরবর্তী নিবন্ধ‘সিআরবি আমার মা বিক্রি করতে দেব না’