মিরপুরে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের মধ্যে শুক্রবার যতক্ষণ খেলা হয়েছে, তাতে কিউইদেরই খুশিই হওয়ার কথা। কার্টিস হিফি ও জো কার্টার ফিফটি করে বিদায় নিয়েছেন। তবে নিক কেলি ছুটছেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ছয় ছক্কায় ৮৩ রান করে। দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭৭ রান। বাংলাদেশের চেয়ে ৮০ রানে পিছিয়ে তারা। ম্যাচের বাকি আর একদিন। দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি এগোচ্ছে ড্রয়ের দিকে। শুক্রবার মধ্যাহ্ন বিরতির পর বৃষ্টিতে কয়েক দফায় বন্ধ হয় খেলা। শেষ দিকে আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে দিনের খেলা শেষের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। সব মিলিয়ে খেলা হয় ৬২ ওভার। ১ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা কিউইরা যোগ করে ১৭৩ রান। সেঞ্চুরির পথে থাকা কেলি সিরিজের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আগের দিনের ভালো শুরু ধরে রেখে এ দিনও একই ছন্দে এগোতে থাকেন হিফি ও কার্টার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন কার্টার। হিফি পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেন ১৩০ বল। ব্রেক থ্রুর খোঁজে সাইফ হাসানের হাতে বল দেন নুরুল হাসান সোহান। অনিয়মিত অফ স্পিনার দেখে যেন মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন কার্টার। ক্রিজ ছেড়ে বড় শট খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান কিউই অধিনায়ক। তার বিদায়ে ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৯৯ বলে ৬২ রান করেন কার্টার। সাইফের পরের ওভারে ছক্কা উড়িয়ে রানের খাতা খোলেন কেলি। নাসুম আহমেদের ওভারে তিনি ছক্কার পর মারেন চার। অন্য প্রান্তে শুরুর মতোই রয়েসয়ে খেলতে থাকেন হিফির। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪৭ রানের জুটি। সৈয়দ খালেদ আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন হিফি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঠিক মানতে পারছিলেন না তিনি। বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে ধীর পায়ে ফিরে যান ২০৩ বলে ৭১ রান করা ওপেনার। পরের বলেই চমৎকার ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে ডেল ফিলিপসকে এলবিডব্লিউ করেন খালেদ। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকেও। পরপর দুই উইকেট নিয়ে তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষে আনার আশায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাধ সাধেন কেলি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাথু বয়েলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যোগ করেন ১০১ রান। পুরো ইনিংসে তেমন ভালো বোলিং করতে পারেননি বাংলাদেশের তিন স্পিনারের কেউই। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৮ বলে ফিফটি করেন কেলি। একই ছন্দে এগিয়ে পরে আরও দুটি ছক্কা মারেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি ওয়ানডে খেলা মিডল–অর্ডার ব্যাটসম্যান। আরেক প্রান্তে বয়েলও রাখেন নির্ভরতার ছাপ। দিন শেষে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত তিনি।