বৃষ্টিতে কাপ্তাই সড়কের খানাখন্দ রূপ নিয়েছে ডোবায়, যানজটে ভোগান্তি

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | মঙ্গলবার , ২২ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে এবার একাধিক স্পটে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে রূপ নিয়েছে ডোবায়। অথচ সড়কটি সংস্কারের মাত্র বছর দেড়েক অতিবাহিত হয়েছে। খানাখন্দ সড়কে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া একই কারণে নিয়মিত যানজটসহ নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চলাচলকারী হাজার হাজার জনসাধারণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় প্রবেশপথ থেকে শান্তিরহাট পর্যন্ত একাধিক স্পটে তীব্র খানাখন্দ। এরমধ্যে সড়কের ওয়াসা পানি শুধানাগার, পোমরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরে আজিমনগর এলাকা, ভবানিমিল, ইছাখালী ও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্পটে তীব্র খানাখন্দ রয়েছে। যেখানে প্রায়শই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

এই সড়কপথে নিয়মিত চলাচল করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. ইসমাইল হুসাইন। সড়কের এই বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, পোমরা শান্তির হাট ওয়াসার পানি শোধনাগারের সামনের কাপ্তাই সড়কের ১০ মিটার পরিমাণ জায়গা গর্ত হয়ে পানি জমে আছে গত ১ সপ্তাহ ধরে।

রোববার এই স্পটে এইচএসসি পরীক্ষার্থী, কাপ্তাই সড়কের হাজার হাজার যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র জেমে আটকে ছিলো। এই অল্প পরিমাণ সড়কের সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের হাজার কোটি টাকা খরচ হবে না। রাঙ্গুনিয়ার ইউএনওর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ঘরমুখো আর শহরগামী মানুষের এমন দুর্ভোগ পরিত্রানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সড়কের এই অবস্থার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক দিদারুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্পটে বড় বড় গর্ত, বৃষ্টির পানি, তাপবিদ্যুৎ এর পানির লাইনের মাঝে মাঝে লিকেজ, ড্রেন ব্যবস্থাপনা না থাকাই সড়কের এই দুর্দশা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

তিনি আরও জানান, রোববার সকালে জঙ্গল পোমরা বড়ঘোনা এলাকায় গর্তে পড়ে বাঁশের গাড়ি উল্টে যায়।

যার ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শান্তিরহাট এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের এই বেহাল অবস্থায় মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছে। নিরসনে আমরা নিজেদের উদ্যোগে সারানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু এতেও কেউ কেউ বাধা দিচ্ছে।

এদিকে সড়কের এই বেহাল অবস্থার বিষয়ে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইউনুস জানান, সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে সত্যপীর মাজার এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ড্রেনের পানিগুলো সাময়িক সড়কের উপর দিয়ে যাচ্ছে।

কাজ শেষ হলে এই পরিস্থিতি আর থাকবে না। এছাড়া ভবানিমিলসহ বিভিন্ন স্পটে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে খানাখন্দে ‘ব্রিক ফ্ল্যাট সলিং’ এর মাধ্যমে জরুরি সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকানাডায় আল্লামা সাবির শাহ্‌’র সাথে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাতের সাক্ষাৎ
পরবর্তী নিবন্ধফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারেক রহমান