সম্প্রতি মানুষ ঘরবাড়ি অফিস আদালত রাস্তাঘাট বাজার রেস্তোরাঁ কল কারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রসারণের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছে। প্রতিনিয়ত বৃক্ষ নিধনের ফলে ঝুঁকিতে পড়ছে এখনকার জীববৈচিত্র্য। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অভাবনীয়। একটি দেশের ভৌগোলিক পরিবেশের জন্য দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৬ শতাংশ। বৃক্ষ মাটির ক্ষয়রোধ ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দেয় ও আমাদের থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। একটি গাছ কাটলে দুটি গাছ লাগাতে হবে এমন স্লোগান বাংলাদেশে থাকলেও বাস্তবে তার দেখা মেলে না। এদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ একটা দেশ। এখানে প্রতি বছরই বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়। ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে হলে বনায়ন তথা বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ইস্যু। দেশে যত বেশি বৃক্ষ থাকবে আবহাওয়া তত বেশি শীতল থাকবে। তাই এ ব্যাপারে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খোলা জায়গায় অধিক হারে বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এম.এইচ.হাসান
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা কলেজ।