বিয়ের ৪ মাস পর চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ থানা পুলিশ গতকাল সোমবার বেলা ১১টার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় মুনতাহিনা (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুনতাহিনা একটি খাতায় ১০ পৃষ্ঠা জুড়ে চিরকুট লিখেন। তবে তার মৃত্যুর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি। জানা যায়, উপজেলার বরকল ইউনিয়নের পাঠানদন্ডি এলাকার প্রবাসি সাজ্জাদ হোসেন ইমনের সাথে পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের জহিরুল হকের মেয়ে মুনতাহিনার সাথে ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর প্রবাসে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান সাজ্জাদ। সাজ্জাদের পিতা মোহাম্মদ ওসমানও থাকেন প্রবাসে।

মুনতাহিনা ও তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম (৫৫) ছাড়া বাড়িতে কেউ থাকতো না। সম্প্রতি মুনতাহিনা পটিয়ার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। ঘটনার দিন রোববার দুপুরে তিনি শ্বশুড় বাড়িতে আসেন। রাতে যথারীতি নিজ শয়ন কক্ষে শুয়ে পড়েন মুনতাহিনা ও তার শাশুড়ি। রাতের যে কোন সময় সে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে। সকালে তাকে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে জানালে তিনি চন্দনাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধু মুনতাহিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তিনি একটি খাতায় ১০ পৃষ্ঠার চিরকুটে লিখেছে তার কিছুই মনে থাকে না, সবকিছু ভুলে যায়। কারো বোঝা ও সমস্যা হয়ে থাকতে চান না তিনি। সবাই তাকে পছন্দ করলেও তিনি কাউকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না। সবাই তাকে যেন মাফ করে দেয় এই জাতীয় ১০ পাতার একটি চিরকুট লিখে যান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে মানসিকভাবে ডিপ্রেসানে ছিলেন তিনি। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে মারধর
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশ বৈলতলী গ্রামে নিশ্চানন্দ স্বামীজীর ৮১তম তিরোধান মহোৎসব কাল