বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নীলাকে কুপিয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি মিজানুরের

| শুক্রবার , ২ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সাভারের স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিচারিক হাকিম রাজীব হাসানের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য জানান। ২০ বছর বয়সী মিজানুর বিবাহিত হয়েও নীলাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। তার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে সে। ‘আমার বন্ধু সেলিম যখন বলে যা করার আজই করে ফ্যাল। নীলা বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না বলে সেলিমের দেওয়া ছুরি দিয়ে কোপাই নীলাকে। তখন সেলিম ও সাকিব কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিল, মিজানুর জবানবন্দিতে বলেছে বলে জানান অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বাবুল। খবর বিডিনিউজের।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মিজানুর আগে থেকে নীলাকে পছন্দ করত। এর মধ্যে তার বাবা অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে দিয়ে দেন। তারপরেও নীলাকে ভুলতে পারছিল না সে। ঘটনার দিন তারা তিনজনে একটি হোটেলে খাওয়া শেষে নীলা তার ভাইকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় তাদের পথরোধ করে। ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নীলাকে তাদের নিজেদের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায় মিজানুর। বিয়েতে রাজি না হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার গলায় বা হাত ঢুকিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকেন মিজানুর। নীলা ও তার ভাইয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা তিনজন পালিয়ে যায়। সাভারের একটি এলাকা থেকে লুঙ্গি দিয়ে মুখ ঢেকে পালিয়ে বাসে করে আরিচায় চলে যান মিজানুর। তারপর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।

মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে নীলা সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়ার এক বাড়িতে তার পরিবার ভাড়া থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাভার পৌরসভার পালপাড়া এলাকায় নীলাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ
পরবর্তী নিবন্ধনাশকতার মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর জামিন