বিয়ে করতে প্রেমিকের হাত ধরে শুক্রবার পালিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু সেই প্রেমিক ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে তরুণীকে রাতভর গণধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার সকালে তরুণীর কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা জানতে পারে আসল ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে। ওই প্রেমিকের নাম নাজিম উদ্দিন। খবর পেয়ে শনিবার ভূজপুর থানার পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হল- মোহাম্মদ নাজিম (২২), আবুল মনসুর (৩৫), মো. সালাহউদ্দিন (৩৮), মো. ইয়াছিন (২৩) ও মো. পারভেজ (২৫)।
চাঁনপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নাজিমের বাড়ি ভূজপুর দাঁতমারা ইউনিয়নের পশ্চিম তাঁরাকো এলাকায়। শনিবার বিকেলে খবর আসে গ্রামের একটি নির্জন ঘরে এক তরুণীকে কয়েকজন বখাটে মিলে আটকে রেখেছে। ওই তরুণী কাঁদছে। তখন তারা বিষয়টি ভূজপুর থানা পুলিশকে জানান এবং স্থানীয়রা ওই ঘরের দিকে এগোতে থাকলে সেখান থেকে কয়েকজন বের হয়ে পালিয়ে যায়। কান্নারত তরুণী লোকজনকে জানান, তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। চট্টগ্রাম শহরের অঙিজেন এলাকায় থাকেন এবং একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। নাজিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে গত শুক্রবার মেয়েটি অঙিজেন থেকে নাজিমের সঙ্গে ফটিকছড়িতে যায়। কথা ছিল তারা বিয়ে করবে। কিন্তু নাজিম তাকে শুক্রবার রাতে একটি অন্ধকার-নির্জন ঘরে নিয়ে তোলে। সেখানে রাতে আরও ৮-১০ জন যায়। নাজিমসহ পাঁচ-ছয় জন মিলে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘তরুণী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তাকে তার প্রেমিকসহ একের অধিক ব্যক্তি মিলে ধর্ষণ করেছে। আমরা প্রথমে তার প্রেমিক নাজিমের তথ্য সংগ্রহ করে তাকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করি। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করি। মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’