বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব–১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম ভেন্যুর খেলা উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল। সাগরিকাস্থ মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে প্রধান অতিথি টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম ভেন্যুর খেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিসিবির পরিচালক এবং মেডিকেল কমিটির চেয়ারম্যান মনজুর আলম মঞ্জু। বিসিবি এক্সিকিউটিভ শাহীন হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার আজম ইকবাল, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল, সিজেকেএস এর সাবেক ক্রিকেট সম্পাদক আবদুল হান্নান আকবর, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু, বিসিবির বিভাগীয় কোচ মোমনিুল হক, জেলা কোচ মাহবুবুল করিম মিঠু, সাবেক জেলা দলের ক্রিকেটার আবু শামা বিপ্লব, কক্সবাজার জেলা কোচ আশরাফুল আজিজ সুজন, কুমিল্লা জেলা কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস সহ অংশ গ্রহণকারী দলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বলেন চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে মাঠের বেশ অভাব রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করব কিভাবে মাঠের সংখ্যা বাড়ানো যায়। তিনি বলেন আমাদের সিটি কর্পোরেশনের একটি স্টেডিয়াম রয়েছে বাকলিয়ায়। আমরা সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। এছাড়া মেডিকেল মাঠটাও ক্রিকেটের জন্য ব্যবহার করতে পারব। পাহাড়তলী কলেজের মাঠের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। খেলাধুলার জন্য কিভাবে আরো মাঠ বের করা যায় সে চেষ্টা চালাবেন তিনি। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ইনজুরি নিয়েও বেশকিছু পরামর্শ দেন তিনি। ক্ষুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে সিটি মেয়র বলেন একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি ক্রিকেটারদের বা ক্রীড়াবিদদের কি সমস্যা হতে পারে। তিনি বলেন ইনজুরি কখনো লুকাতে নেই। ইনজুরি লুকালে হয়তো একজন ক্রিকেটার সাময়িক খেলতে পারবে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে। তাই ক্রিকেটারদের শৃংখলা মেনে চলতে হবে। আর শৃংখলা মেনে চলতে পারলেই দীর্ঘ মেয়াদে ক্রিকেট খেলা সম্ভব। অনুষ্ঠানে বিসিবির পরিচালক মনজুর আলম বলেন, এটা ঠিক যে আমাদের মাঠের সমস্যা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব মেয়র সাহেব যে সব মাঠের কথা বলেছেন তাই বাইরে গিয়ে বন্দর মাঠটা ব্যবহার করতে। বিসিবি সবসময় চেষ্টা করে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে। কারন এখান থেকেই ক্রিকেটার বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন আমাদের অনূর্ধ্ব–১৯ দল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বোর্ডের তরফ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে ক্রিকেটারদের। পাশাপাশি আমি নিজেও স্পন্সর করতে এবং স্পন্সর যোগাড় করতে চেষ্টা করব। যাতে আমাদের ক্ষুদে, তরুণ ক্রিকেটাররা সত্যিকারের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। সাগরিকাস্থ মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রথম ম্যাচে কক্সবাজার জেলা দল ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে রাঙ্গামাটি জেলা দলকে পরাজিত করে শুভ সূচনা করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কক্সবাজার জেরা দল ৪৭.২ ওভারে ২১৫ রান করে অল আউট হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে নাবিল হাসান। এছাড়া মহিবুর ২০, কামরুল ৩৫, তাসনিমুল ১০, মিকাত ১০ এবং ইব্রাহিম ১৯ বলে করে ২০ রান। রাঙ্গামাটি জেলা দলের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছে আবরারুল। ৩টি উইকেট নিয়েছে রাফিদুল কাদের। ২টি উইকেট নিয়েছে মনির উদ্দিন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাঙ্গামাটি জেলা দল ২৬.২ ওভারে ৯০ রান করে অল আউট হয়। দলের পক্ষে নজরুল ৪১ আর রিহাদ অপরাজিত ২২ রান ছাড়া বাকি কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। দলের পাঁচজন ব্যাটার আউট হয়েছে শূন্য রানে। কক্সবাজার জেলা দলের পক্ষে জয়নাল আবেদীন ৩টি উইকেট নিয়েছে মাত্র ৭ রানে। ২টি করে উইকেট নিয়েছে এয়াছিন এবং আহনাফ।