যেন মাথার ওপর থেকে বটের ছায়া হারিয়ে ফেললো দেশের সংগীতাঙ্গন। প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি গীতিকবি, নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার হঠাৎ মৃত্যু হয়। দুঃসংবাদটি শোনার পর অনেক তারকা ছুটে যান হাসপাতালে। কেউ ছুটে যান তার বাসার ঠিকানায়। প্রত্যেকের চোখেই ছিল জল, কণ্ঠ ছিল কান্নায় জড়ানো, দৃষ্টি ছিল বিষণ্ন। ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবকসম গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে হঠাৎ হারিয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বারিধারা পার্ক রোডের গীতিকবির বাসায় ছুটে আসেন সংগীত দম্পতি রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা। যতক্ষণ ছিলেন, রফিকুল ছিলেন বিষণ্ন ও উদাস। বিপরীতে আবিদা সুলতানা ভেঙে পড়েন অঝোর কান্নায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের যোদ্ধা রফিকুল আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাজী ভাইয়ের তো অনেক পরিচয়। কিন্তু তিনি আমাদেরই মানুষ, গানের মানুষ। তার অবদান সম্পর্কে অনেক দীর্ঘ কথা বলতে হবে, সেটা এখন বলতে চাই না। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কবিতা ও আধুনিক গীতিকবিতা লেখার মানুষ খুব কম ছিলেন। তিনি এক জীবনে যত গান লিখেছেন, তার একটিও বিফলে যায়নি। এটা খুব বিরল। বাংলা সাহিত্য ও গানে কোথাও এত বড় গীতিকবি নেই, যার প্রতিটা গান মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। তার লেখা ও সুরে আমি অনেক গান গেয়েছি। ফলে তার চলে যাওয়ার ব্যথা নিয়েই পথ চলতে হবে, কাজ করতে হবে।