বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তিন শিক্ষক-যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভূঞা, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমিত মজুমদার এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ আলী। গত এক বছরের অসাধারণ গবেষণা কর্মের জন্য এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বলে জানা যায়।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি পুরো পেশাগত জীবন,অপরটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।
বিজ্ঞানীদের প্রকাশনার মান, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচক বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র বিবেচনা করে স্ট্যান্ডার্ড সায়েন্স-মেট্রিক্স শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ১৫৩ জন গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভূঞা ২০০৩ সালে চুয়েট থেকে যন্ত্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একই বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
সুমিত মজুমদার কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিষয়ে পিএইচডি এবং এম.এ.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর আগে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ার আইএনটিআই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।
মোঃ আশরাফ আলী পদার্থবিজ্ঞানের কনডেন্সড ম্যাটার শাখায় স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বর্তমানে দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস (TWAS) এর অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত অ্যাডভান্সড কম্পিউটেশনাল ম্যাটেরিয়ালস গবেষণা ল্যাবরেটরিতে প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এ পর্যন্ত ৯৩ টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে তালিকাটি যৌথভাবে প্রকাশ করছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থা এলসেভিয়ার। এবার সপ্তম বারের মতো তাঁরা এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বছর বাংলাদেশের ২০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ২০৫ জন গবেষক এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। পুরো ক্যারিয়ারে গবেষণার মান; সাইটেশন, সাম্প্রতিক বছরের গবেষণা ও নির্দিষ্ট ফিল্ডে অবদান রাখার কারণে তাদেরকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।