বাংলাদেশ এখন জাহাজভাঙা শিল্পে সারা বিশ্বে এক নম্বরে আছে। দেশটি এখন এই শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা শিল্প পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার–ভেন্ডসেন এসব কথা বলেন। এসময় কে আর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের সার্বিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ এবং প্রতিষ্ঠানটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জাহাজ কাটা হয় জানিয়ে রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার–ভেন্ডসেন আরও বলেন, এই দেশে জাহাজ কাটার পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। পরিস্থিতি এতো দ্রুত বদলেছে যে সত্যিই এটি অবাক করার মতো। পাঁচ বছর আগের পরিস্থিতির সাথেও বর্তমান পরিস্থিতি মিলছে না। জাহাজভাঙা শিল্পে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে এখানকার শিল্প মালিকদের সদিচ্ছার ফলে। বিশ্বে জাহাজভাঙা শিল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
এর আগে পরিদর্শনকালে ইয়ার্ডের প্রত্যেকটি বিভাগ সম্পর্কে নরওয়ে রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার–ভেন্ডসেনকে বুঝিয়ে দেন প্রতিষ্ঠাটির কর্ণধার ও কেআর গ্রুপের ডিরেক্টর মো. তছলিম উদ্দিন ও কনসালট্যান্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম।
কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের কর্ণধার ও কেআর গ্রুপের ডিরেক্টর মো. তছলিম উদ্দিন বলেন, ডলার সংকট, দামের পতন, স্বার্থান্বেষী মহলের নেতিবাচক প্রচারসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্প।