চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা সভা গত মঙ্গলবার সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তাগণ ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক একটি এঙপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি সেন্টার স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে কর্মরত নেটওয়ার্ক মেন্টাল হেলথ অ্যাডভোকেসি অ্যাসোসিয়েশন (মা), উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন (উৎস) ও চবির যৌথ উদ্যোগে ডিয়াকোনিয়ার সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন)। অতিথি ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উৎসর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা। দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন উৎসর প্রোগ্রাম অফিসার রীপা পালিত ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসর কর্মসূচি সমন্বয়কারী মুহাম্মদ শাহ্ আলম।
প্রধান অতিথি বলেন, কর্মস্থল হিসাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যত বেশি মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব হবে তত বেশি গুণগতমানের শিক্ষা নিশ্চিত হবে। কারণ মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ না থাকলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত হতে পারবে না।
মুক্ত আলোচনায় নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাতুল আলম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষাকর্মী হিসাবে আমার উপলব্ধি হলো, শরীরের পাশাপাশি মনের স্বাস্থ্যের গুরুত্বও অপরিসীম। আমাদের প্রতিটা ফ্যাকাল্টিতেই একটি করে মানসিক স্বাস্থ্য বান্ধব কর্ণার থাকা প্রয়োজন যেখানে থিয়েটার থেরাপি, কাউন্সেলিং, সাইকোথেরাপি, এঙপ্রেসিভ সাইকোথেরাপির প্রয়োগের মাধ্যমে মানসিকভাবে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান করা যেতে পারে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ভর্তির শুরুতেই ক্যাম্পাসে নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। কিছুদিন যাওয়ার পরই হলে সিট পাওয়া নিয়ে চাপ, র্যাগিং, রাজনীতি, ক্যারিয়ার ভাবনার মারপ্যাচে আমাদের ভিতর হতাশা ভর করে। এই হতাশার ফলে আমাদের ভিতর যে চাপ তৈরি হয়। তা প্রশমনের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহায়তা কেন্দ্র প্রয়োজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।