পেকুয়ায় গ্রেপ্তারের পর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরানো ছাড়াও কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে আদালতে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গত রবিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে এইভাবে আদালতে তোলা হয় বলে নিশ্চিত করেন চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ। এ সংক্রান্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। মারামারির মামলায় গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যাডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ জানান, আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একমাত্র দাগি, রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ না হলে এভাবে কোন সাধারণ আসামিকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলার এখতিয়ার আইনে নেই। এর পরও পুলিশ সেই রুলস্ অমান্য করে বেআইনি কাজ করেছে।
জানা গেছে, সামপ্রতিক একটি মারামারির ঘটনার মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাহ্ ঘোনার মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে হামিম মো. ফাহিমের (২৫) বিরুদ্ধে। বর্তমানে ফাহিম সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি একটি কোচিং সেন্টারও পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করেই থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। এতে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই, খবর নিচ্ছি।