বিশ্বজুড়ে কে কী বললেন

| বুধবার , ১ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

হোয়াইট হাউজ ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অবিলম্বে থামিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। আর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই শান্তি প্রস্তাব নিয়ে বিশ্বে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

ইসরায়েল : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রস্তাবটি সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য এই প্রস্তাবে অর্জিত হয়েছে।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ : ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফায়। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গাজা যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আন্তরিক ও সুদৃঢ় চেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছে। শান্তির পথ খুঁজে পেতে ট্রাম্পের সক্ষমতায় ফিলিস্তিন তাদের আস্থা নিশ্চিত করছে।

ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান : ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ। এটি যুদ্ধ অবিলম্বে থামার সবচেয়ে ভাল সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রস্তাবটি সফল করতে ইইউ সহায়তা করতে প্রস্তুত। ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনাটি সই করেছে। হামাসেরও এখন উচিত দেরি না করে এটি গ্রহণ করা এবং জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে প্রস্তাবের বাস্তবায়ন শুরু করা।

আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক : এই দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তাদের মন্ত্রীরা শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত করা এবং বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলকভাবে কাজ করতে প্রস্তুত থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে, যেভাবে কাজ করলে ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত হয়। গাজায় যুদ্ধ শেষ করা, অবাধে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা, জিম্মি মুক্তি, সব পক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়া, ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা, গাজা নতুন করে গড়ে তোলা এবং দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ভিত্তিতে ন্যায্য শান্তির পথ সৃষ্টি করা যার আওতায় গাজা পশ্চিম তীরকে নিয়ে পুরোপুরি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হতে পারেসে লক্ষ্যেও এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার যৌথ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

জাতিসংঘ মুখপাত্র : জেনিভায় জাতিসংঘের মুখপাত্র অ্যালেজান্দ্রা ভেলুসি বলেন, বস্তুত আমরা সব মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। আর অবশ্যই আমরা যে কোনও শান্তি পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রস্তুত সেই সবকিছু দিয়ে যা আমরা করতে পারি, যার মধ্যে মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করাও রয়েছে।

তুরস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় রক্তপাত বন্ধ ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বকে আমি সাধুবাদ জানাই। তুরস্ক ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে থাকবে।

জার্মানি : জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস বলেছেন, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই। এ পরিকল্পনা যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম পথ।

ফ্রান্স : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে ও সব জিম্মিকে মুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করি, ইসরায়েল এই ভিত্তিতে দৃঢ়ভাবে সম্পৃক্ত হবে। হামাসের অবিলম্বে সব জিম্মি মুক্তি দেওয়া এবং এ পরিকল্পনা মেনে চলা ছাড়া কোনও উপায় নেই।

যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন উদ্যোগকে গভীরভাবে স্বাগত জানাই এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমি কৃতজ্ঞ। তার (ট্রাম্প) প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।

ইতালি : ইতালি সরকার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা মোড় পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বৈরিতা স্থায়ীভাবে বন্ধের পথ খুলে দিতে পারে।

স্পেন : প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত শান্তি প্রস্তাবকে স্পেন স্বাগত জানায়। আমাদেরকে এই ভয়াবহ কষ্টের অবসান ঘটাতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু