২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, প্রতিটি ম্যাচেই বাধ্যতামূলকভাবে ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ বা পানি পানের বিরতি থাকবে। এক বিবৃতিতে এই নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের প্রতিটি অর্ধে ২২তম মিনিটে রেফারি খেলা থামিয়ে দেবেন। তখন খেলোয়াড়রা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে বা পানি পানের জন্য ৩ মিনিটের বিরতি পাবেন। ফিফা জানিয়েছে, আগের নিয়মকে আরও সহজ ও কার্যকর করতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে নিয়ম ছিল, কিক–অফের সময় তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় ‘কুলিং ব্রেক’ দেওয়া হতো। কিন্তু এখন তাপমাত্রা বা ভেন্যুর পরিস্থিতি (যেমন: স্টেডিয়ামে ছাদ থাকা বা না থাকা) যা–ই হোক না কেন, বিরতি বাধ্যতামূলক। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের প্রধান টুর্নামেন্ট অফিসার মানোলো জুবিরিয়া ওয়াশিংটনে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘ম্যাচ যেখানেই হোক, স্টেডিয়ামে ছাদ থাকুক বা না থাকুক কিংবা তাপমাত্রা যাই হোক প্রতিটি ম্যাচেই তিন মিনিটের হাইড্রেশন ব্রেক থাকবে।’ তিনি আরও জানান, ম্যাচের ২০ বা ২১ মিনিটের সময় যদি কোনো চোট বা ইনজুরির ঘটনা ঘটে, তবে রেফারি পরিস্থিতির সঙ্গে সমন্বয় করে বিরতির সময় নির্ধারণ করবেন। মূলত খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে দুপুরে তীব্র গরমে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ‘ফুটবল ফর দ্য ফিউচার’, ‘কমন গোল’ ও ‘জুপিটার ইন্টেলিজেন্স’–এর গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার ১৬টি ভেন্যুর মধ্যে ১০টিতেই তীব্র তাপপ্রবাহের (Extreme Heat Stress) উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। ফিফা তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, বিগত টুর্নামেন্টগুলো এবং সামপ্রতিক ক্লাব বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলোয়াড়দের জন্য সর্বোত্তম কন্ডিশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।











