আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল উগান্ডা। তবে সে আঘাত সামলে দারুণভাবে ফিরেছে আফ্রিকার দেশটি। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের স্পিন সহায়ক উইকেটে পাপুয়া নিউগিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রথম জয়ের দেখা পেল উগান্ডা। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৭ রানে পিএনজিকে গুটি েদিয়েছিল উগান্ডা। যদিও স্বল্প রান তাড়া করতে গিয়ে একপর্যায়ে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে উগান্ডা। পরে দেখেশুনে খেলে ১০ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় মাসাবার নেতৃত্বাধীন দল। এই জয় উগান্ডার কাছে ঐতিহাসিক। টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় উগান্ডা। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক আসাদ ভালাকে ফেরান রামজানি। এক ওভার পর একই পথ ধরেন তিন নম্বরে নামা সেসে বাউ। শুরুর ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনি। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৮০ রানের আগেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন হিরি। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু লেগা সিয়াকা ও কিপলিন ডোরিগা। এদের মধ্যে সিয়াকা ১২ এবং ডোরিগা করেন ১২ রান। উগান্ডার পক্ষে সুবুগা সুবুগা ৪ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রামজানি, মিয়াজি ও কসমাস কিয়ুটা। স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে উগান্ডার শুরুটা ছিল শঙ্কা জাগানিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রজার মুসাকাকে এলবিডব্লিউ করেন অ্যালেই নাও। পরের ওভারে রবিনসন ওবুয়াকে ফেরান নরমান ভানুয়া। সাইমন সেসাজিও টিকতে না পারলে ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে উগান্ডা। চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিয়াজাত ও আলপেশ রামজানি। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফিরেন ৮ রান করা রামজানি। পরের ওভারে দিনেশ নাকরানিও ড্রেসিং রুমের পথ ধরলে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে উগান্ডা। বিপদ আরও বাড়তে পারত নবম ওভারে। চ্যাড সোপেরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিয়াজাতের ক্যাচ ছেড়ে দেন আমিনি। তখন ২৫ বলে ৮ রানে খেলছিলেন রিয়াজাত। জীবন পাওয়ার পর আর ভুল করেননি ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। রানের চাপ তেমন না থাকায় মিয়াজির সঙ্গে রয়ে–সয়ে খেলতে থাকেন তিনি। সব মিলিয়ে ৫৬ বলের ইনিংসে মারেন মাত্র ১টি চার। চতুর্দশ ওভারে মিয়াজি রান আউট হলে ভাঙে ৪৩ বলে ৩৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। পরে ওয়াইসওয়াকে নিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে যান রিয়াজাত। জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।৫৬ বলে ৩৩ রান করেন রিয়াজাত। জুমা মিয়াজি ১৩ রান করে দলকে জেতান। ঐতিহাসিক জয়ের বড় কারিগর রিয়াজাত ম্যাচ সেরার পুরস্কার লাভ করেন।