বিশ্বকাপের শেষ পর্যায়ে এসে দুয়ার খুলে গেছে শামীম হোসেনের জন্য। সাকিব আল হাসানের দুর্ভাগ্যই সৌভাগ্য বয়ে এনেছে তরুণ এই ক্রিকেটারের জন্য। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া অলরাউন্ডারের জায়গায় বাংলাদেশের একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন শামীম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে শামীমের। ম্যাচের আগের দিন গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। পাশাপাশি সৌম্য সরকারের একাদশে থেকে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। থাকছেন লিটন কুমার দাসও। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাকিব না থাকায় এই ম্যাচের একাদশ সাজাতে বেশ ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ইনজুরির কারণে আগে থেকেই নেই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। অনুশীলনে পাওয়া ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি নুরুল হাসান সোহান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তিনি ফিরতে পারছেন না। সব মিলিয়েই বিশ্বকাপ অভিষেকের সামনে দাঁড়িয়ে শামীম। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের শূন্যতা তুলে ধরার পাশাপাশি একাদশের সম্ভাব্য তালিকা জানালেন ডমিঙ্গো। সাকিব না থাকা অবশ্যই বড় ধাক্কা। সে না খেললে একজন বোলার বা ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হয়। কিংবা অনিয়মিত বোলার নিয়ে খেলতে হয়। দলের ভারসাম্যের জন্য তাই বড় ক্ষতি। পাশাপাশি চাপের সময়ে তার নেতৃত্ব ও দলের জন্য বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সেটিও পাওয়া যাবে না। তবে এটাই হয়তো সুযোগ করে দিচ্ছে নতুন কারও বিশ্বকাপে প্রথমবার মাঠে নামার। তরুণ একজন ক্রিকেটারের জন্য সেটি হবে ইতিবাচক দিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার মতো ফিট হবে না সোহান। শামীম ও সৌম্য সরকার আমাদের দুই ব্যাকআপ ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকবে একাদশে। বিশ্বকাপের শুরুতে সাকিব ও সাইফসহ নয় ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাইফের জায়গায় পেসার শরিফুল ইসলামকে খেলানো হয়। ব্যাটিংয়ে গভীরতা ধরে রাখতে এবার ব্যাটসম্যান বাড়াচ্ছেন ডমিঙ্গো। সৌম্য ও লিটনের জায়গা ধরে রাখার সুযোগও থেকে যাচ্ছে। যদিও বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে সৌম্যর রান ৫ ও ১৭। লিটন প্রথম ৫ ম্যাচে ৬৫ রান করার পর গত ম্যাচে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপে ছাপ রাখার আরেকটি সুযোগ দুজনই পাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।