প্রতিবছর এক একটা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিনটি পালন করা হয়, এবারের প্রতিপাদ্য: ‘সচেতনতা, স্বীকৃতি, মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’। ২রা এপ্রিল এমন একটি দিন, যে দিনটি ভিন্নভাবে সক্ষম অটিজমবৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের স্বীকৃতি দেয় সমগ্র পৃথিবীজুড়ে। এদিনটি শুধু একটি দিন নয়, এটা একটি উত্তরণের আলোকবর্তিকা, যা সামনের দিকে এগিয়ে যাবার পথ দেখায়। সারাবছরব্যাপী বিশ্বে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এক একটা নির্দিষ্ট দিনে সেই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দিনটি নানাভাবে পালন করা হয়, তেমনি ২০০৮ সাল থেকে ২রা এপ্রিল প্রতিবছর সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।
যে কোন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তাঁর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনি প্রয়োজন হয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।তেমন একটি বিষয় ‘অটিজম’ যেটা বিশেষ জনগুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিগত কয়েক দশকে এর হার অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে যা বর্তমানে প্রতি ৩৬ জনে একজন সারা বিশ্বে। এ বিশেষচাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী যাঁদের মূল সমস্যা সামাজিক যোগাযোগে এবং কাজের সীমাবদ্ধতা ও একইকাজ বারবার করার প্রবণতা এবং এসবলক্ষনগুলো সাধারণত ১–৩ বছরের মধ্যে প্রকাশপায়। এসমস্যাগুলো হয় স্নায়ুবিক বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতার জন্য, প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করে যদি যথাযথ পরিচর্যা করা হয়, এদের অনকেই সমাজের মূলধারার কাজে সমপৃক্ত হতে পারে। অটিজম সারাজীবনের সমস্যা এবং এখনও পর্যন্ত এর নিরাময়ের জন্য কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই বিশ্বব্যাপী এ বিরাট জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২রা এপ্রিল প্রতিবছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০০৮ সাল থেকে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়েও বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অটিজম বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা, সনাক্তকরণ, শিক্ষা–প্রশিক্ষণ, মূলধারার স্কুলের জন্য তৈরী করা, কারিগরীপ্রশিক্ষণ সহ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার ও অন্যান্য বেসরকারী প্রতিষ্টানের সাথে বিগত প্রায় তের বছরের অধিককাল চট্টগ্রামের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান– ‘নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন।’
২০১০ সালে মাত্র চারজন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু তৎকালীন অটিস্টিক চিলড্রেন ডেভালোপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার যা বর্তমানে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন নামে সুপরিচিত। এটি সমাজসেবায় রেজিষ্ট্রার্ড একটা বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অটিজম এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক বৈশিষ্টসম্পন্নদের উত্তরনে দীর্ঘ প্রায় একযুগের অধিককাল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে নিষ্পাপ অটিজম স্কুল এবং এরসাথে ২০২১সালের জানুয়ারী থেকে সংযুক্ত হয়েছে নিষ্পাপ সমন্বিত বিদ্যালয়। দুই শিফটে পরিচালিত নিষ্পাপ অটিজম স্কুলে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন এবং নিষ্পাপ সমন্বিত স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২০জন। শুরু থেকে এপর্যন্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্রছাত্রী একাডেমিক লেভেলে উত্তরণ হয়ে মূলধারার বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। কিন্তু আবার অনেকেই মূলধারার স্কুলে পড়ালেখার যোগ্যতা অর্জনের পরও স্কুল থেকে বিতারিত হয়েছে তাদের কিছুটা আচরণ এবং মূলধারর শিক্ষকদের সহযোগিতার অভাবে। আমরা জানি অটিজম সারাজীবনের সমস্যা, এটি নিরাময়যোগ্য কোন রোগ নয়,এটি একটি স্নায়ুবিক বিকাশজনিত সমস্যা। মূলধারার শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলোতে সরকারী নির্দেশনা এবং নীতিমালা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে অটিজম বৈশিষ্টি সম্পন্নদের জন্য। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করেই নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছে নিষ্পাপ সমন্বিত বিদ্যালয় যেখানে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিষ্পাপ স্কুলের ১৪ জন অটিজমবৈশিষ্ট সম্পন্ন ছাত্র ছাত্রী একইসাথে লেখাপড়া করছে যেখানকার শিক্ষকরাও স্পেশাল এডুকেটর। অটিজম উত্তরণে অবদানরাখায় ২০১৮ সালে জাতীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত এপ্রতিষ্টান নিরলসভাবে কাজ করছে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে, অভিভাবক প্রশিক্ষণ, বিশেষায়িত শিক্ষকদের গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেশী বিদেশী প্রশিক্ষকের মাধ্যমে। এপ্রতিষ্ঠানে বিএসএড এবং এমএসএড ডিগ্রীধারী শিক্ষরা যেমন শিক্ষকতা করছেন তেমনি দেশিবিদেশী অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পীচলেঙ্গুয়েজ থেরাপিষ্টরাও যুক্ত আছেন ছাত্রছাত্রীদের উত্তরণে। এখানে সুদূর কুমিল্লা থেকে শুরু করে টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদীয়া, কক্সবাজার থেকেও অভিভাবকরা তাঁদের বিশেষচাহিদসম্পন্ন সন্তানদের নিয়ে আসেন, যাদের চট্টগ্রাম শহরে নেই কোন থাকার জায়গা বা অনেকেরই নেই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী অভিভাবক প্রশিক্ষণ বা সেবা নেবার সুযোগ/ সামর্থ্য। নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন এসব সমস্যা অনুধাবন করে একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে– “নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন মালটিপারপাস কমপ্লেঙ– ‘মায়াকানন’ নন্দিরহাট, ১নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ,যে ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নিজস্ব এবং বিভিন্ন মহৎপ্রাণ ব্যক্তিদের অনুদানের অর্থে ভূমি ক্রয় করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ।
এখানে থাকছে: (অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের জন্য)-
মায়াকানন কমপ্লেক্স ( চলমান কনস্ট্রাকশন)
১. ড. আর পি সেনগুপ্ত–নিষ্পাপ সমন্বিত বিদ্যালয় : একাডিমিক্যালী সক্ষম শিশুদের স্বাভাবিক স্কুলে ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করে সেই জন্য নিষ্পাপ সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে এই সমন্বিত স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিম্নআয়ের মানুষের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পাচ্ছে ১৪৫ জন। যেখানে শিশু শ্রেণী (প্রাক–প্রাথমিক) থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে ১৪ জন বিশেষ শিশুরাও অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে,২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে অস্হায়ী ক্যাম্পাসে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হলে স্থায়ী ভবনে এ স্কুল চলবে।
২. জরুরি অবকাশ যত্ন : কোন বিশেষচাহিদাসম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তির পরিচর্যাকারী/ অভিভাবক হঠাৎ জরুরী অসুবিধার কারনে সেবা দিতে অপারগ হলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য তার সেবার ভার নেবে ‘মায়াকানন’।
৩. উত্তরণ– বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র : স্বাবলম্বী এবং উপার্জনক্ষম করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প কাজ করবে ।
৪. মায়াকানন–ইনক্লুসিভ হোম : কোন অটিজম বৈশিঁষ্টসম্পন্ন ব্যক্তি/ শিশু অভিভাবকহীন হলে এখানে স্হায়ীভাবে থাকার সুযোগ পাবে, যাঁদের সেবাদানকারী হবে পুনর্বাসিত সাধারণ মানুষ, সে কাজের জন্য প্রশিক্ষণ কাজও শুরু হয়েছে।
৫. অভিভাবক/ সেবাদানকারী <Npne>স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (আবাসিক/ অনাবাসিক): যারা স্থায়ীভাবে গ্রামাঞ্চলে থাকে শহরে থাকার সুযোগ বা আর্থিক সামর্থ্য নাই তারা স্বল্প খরচে এখানে থেকে স্বল্পকালীন (৩/৪ মাস) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আবার স্ব–গৃহে চলে যেতে পারবেন এবং প্রয়োজনে আবার আসতে পারবেন।
৬. সব ধরনের কার্যক্রম হবে মায়াকানন প্রকল্পের নিজস্ব যতটুকু সুযোগসুবিধা থাকবে তার পরিধি বা বিস্মৃতি অনুযায়ী।
৭. নিষ্পাপ অটিজম স্কুল : চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে (প্রবর্তক মোড়, চট্টগ্রাম) ২০১০ সাল থেকে অটিজম এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক বৈশিষ্টসম্পন্নদের জন্য সকলপ্রকার সুযোগসুবিধা সংযোজন করে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে বর্তমানে প্রায় ১১০জন ছাত্রছাত্রী আছে দু–শিফটে। পাশাপাশি স্থায়ী কমপ্লেক্সে ও একটি অটিজম স্কুল থাকবে। এসেসমেন্ট সহ সকল কার্যক্রম করা যাবে।
৮. মায়াকাননে আরও থাকছে: স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র এবং বিশেষ শিশুদের তৈরি বিক্রয় ও প্রদর্শনী স্টল, খাবারের স্টল যা সক্ষম বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের একটি কর্মসংস্থান এবং উপার্জনের পথ সুগম করবে যে ইনক্লুসিভ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
৯. সেমিনার ও প্রশিক্ষণ হল : স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ / সেমিনার হল এবং অনুষ্ঠান করার জন্য ২০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটরিয়াম থাকবে যাতে বিশেষ শিশুরা তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করতে পারে।
এই সুবিশাল প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া/ আশীর্বাদ বিনীতভাবে কামনা করছি। আশাকরি সকল চিত্তশালী ও বিত্তশালীরা আমাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
আজ ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে একজন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সন্তানের মা হিসাবে বলবো–
‘আমার সন্তান অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন, কিন্তু সে আমার কাছে কলিজার টুকরা, সে আমার শ্রেষ্ঠ সন্তান’।আমার মনে হয় অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন প্রায় সব সন্তানের মা আমার সাথে একমত হবেন।
অটিজম এ শব্দটি এখন বহুল পরিচিত একটি শব্দ। সিডিসি– আমেরিকার পরিসংখ্যান মতে বর্তমানে প্রতি ৩৬জনে একজন অটিজনবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। আমাদের দেশের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এর হার ০.৮% থেকে ৩%।
অটিজমের হার দেশ, ধর্ম, বর্ণে কোন ভেদাভেদ নেই পৃথিবীর সবদেশেই প্রায় সমান তা বিভিন্ন গবেষণায় প্রতিভাত।
অটিজমের জন্য কোন একটি মাত্র কারণ দায়ী এটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে এটা জানাগেছে অনেকগুলো কারণ যুক্ত থাকতে পারে– জেনেটিক বা বংশগত, পরিবেশ গত প্রভাব অন্যতম। তাছাড়াও গর্ভকালীন এবং প্রসবকালীন নানা জটিলতা, সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ, জন্মের সময় কম ওজন ইত্যাদিও প্রভাব ফেলতে পারে, এসব বিভিন্ন গবেষায় প্রাপ্ত ফলাফল অটিজমের জন্য।
কারণ যা হোক না কেন অটিজম স্নায়ুবিক বিকাশ জনিত সমস্যার বহিঃপ্রকাশ, এটা সারা জীবনের সমস্যা। যত দ্রুত লক্ষণগুলো দেখে শনাক্ত করা যায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায় অটিজম থেকে উত্তরণ তবেই সম্ভব। কারণ অটিজমের থেকে উত্তরণের জন্য তেমন কোন ওষুধ নেই, প্রয়োজন সমস্যা অনুযায়ী ব্যবহারিক পদ্ধতি প্রয়োগ।
যত সমস্যাই থাকনা কেন, দ্রুত সনাক্তকরে যথোপযোগী ব্যবস্থা নিলে এই শিশুরাও অন্যান্য শিশুদের মত উন্নতি করতে পারে মূল স্রোতধারায় একীভূত হতে পারে।
যে কোন বয়সে অটিজম নিরুপণে বিশেষ লক্ষণ সমূহগুলো হলো :
একা থাকতে পছন্দ করে, অন্যের চোখে চোখ রেখে তাকায় না।
অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারে না।
মৌখিক বা অমৌখিক যোগাযোগ করতে পারে না বা দেরিতে কথা বলে বা কথা বলা শুরু করেও কেউ কেউ তা হারিয়ে ফেলে। একই কথা বা শব্দ বার বার বলতে থাকে।
একই নিয়মে চলতে পছন্দ করে, চারপাশের কোন পরিবর্তন পছন্দ করে না বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়।
একই আচরণ বারবার করতে থাকে যেমন: অস্বাভাবিক হাতনাড়ানো, অকারণে একইভাবে দুলতে বা ঘুরতে থাকে।
বিশেষ কোন শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ, আলো বা রং এর প্রতি অতিমাত্রায় বা কম মাত্রায় সংবেদনশীলতা দেখায়।কিন্তু অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তিদের অনেকেরই বিশেষ কোন না কোন সুপ্ত প্রতিভা বা পারদর্শিতা থাকে, যা সঠিক ব্যবস্থাপনা, সহায়তা কম বয়স থেকেই পেলে বহিপ্রকাশ ঘটে তাদের মধ্যে। এজন্য প্রয়োজন অটিজমকে গ্রহণ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য। চাই সামাজিক সচেতনতা, সহায়তা ।
লেখক : শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ; সভাপতি, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম, ‘মায়াকনন’