বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কর্মী তাদের উড়োজাহাজের ব্যবহৃত ১০টি চাকা এক বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে দিয়েছেন– এমন অভিযোগে একটি জিডি হয়েছে। গত সোমবার বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন বিমানবন্দর থানায় এ জিডি করেন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তারা বলছেন, চাকা চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সম্প্রতি বিমানের উড়োজাহাজগুলো কয়েকবার বিকল হয়। এসব ঘটনায় বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই চাকা চুরির অভিযোগ সামনে এল। বিমানের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, একেকটি চাকার দাম ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার। সেই হিসেবে প্রায় কোটি টাকার চাকা বেচে দিয়েছেন বিমানের কর্মীরাই। চাকাগুলো ব্যবহৃত জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো হ্যাঙ্গারের পাশে অকশন শেডে রাখা ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বিমান।
চাকা চুরির বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন। জিডিতে বিষয়টিকে চুরি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বাদী বিমানের কর্মকর্তা মোশারেফ লিখেছেন, গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি আনসার্ভিসেবল টায়ার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জিডিতে বলা হয়, খুঁজে না পাওয়ার পর বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে কর্মরত (এজিএম) শফিকুল ইসলামকে ১০টি চাকা ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার বলছেন, উড়োজাহাজের চাকার বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।