হাওয়ার গতিতে নয়, তার থেকেও বহু গুণ বেশি জোরে ছুটতে পারত। চিরাচরিত বিমানের মতো দেখতে নয়। বরং অনেকটা বুলেটের আকারে তৈরি এ যান আদতে একটি রকেট। যার সঙ্গে লাগানো ককপিট। তাতে বসেই উড়ে যেত নর্থ আমেরিকান এঙ-১৫। দক্ষ চালকের হাতে পড়ে যার গতি ছাড়াতে পারত শব্দের থেকে প্রায় সাত গুণ বেশি গণ্ডির সীমানা। সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি নয়। নর্থ আমেরিকান এক্স-১৫ বিমানটি আসলে রকেটচালিত সুপারসনিক বিমান। এঙ-প্লেন সিরিজের অঙ্গ হিসাবে যেটি গড়ে তুলেছিল আমেরিকার বায়ুসেনা এবং ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)।
প্রথম বার ৬০ বছরের বেশি আগে আকাশ ছুঁয়েছিল নর্থ আমেরিকান এঙ-১৫। তবে মানবচালিত বিমানের মধ্যে এখনও এটিই সবচেয়ে দ্রুতগামী বলে পরিচিত।
১৯৫৯ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল এই সুপারসনিক। তার পর থেকে ন’বছরে ১৯৯টি টেস্ট ফ্লাইটের সাক্ষী থেকেছে। এঙ-১৫ ওড়ানোর জন্য ১২ জনের একটি দলই তৈরি করেছে আমেরিকার বায়ুসেনা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এককালে চাঁদে পা রাখা নীল আর্মস্ট্রং-ও। শব্দের সঙ্গে কথা বলা এঙ-১৫ চালিয়ে কেমন অনুভূতি হয়েছিল? বিল ডানা নামে এক চালকের কথায়, এটাই হল ‘আসল’ বিমান যা ওড়ে।’ নাসা-র আর্মস্ট্রং রিসার্চ ফ্লাইট সেন্টারের প্রধান ইতিহাসবিদ ক্রিস্টিয়ান গেলজার আবার অন্য অনুভূতির আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি স্পিড, সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা এবং সবচেয়ে বেশি ভয়- এ বিমান ওড়ালে এই সবেরই অনুভতি একসঙ্গে হয়েছিল।-আনন্দবাজার