বিভিন্ন হাত ঘুরে যেভাবে প্রাণ ফিরে পায় বই

শিরীষতলায় বই বিনিময় উৎসবে বইপ্রেমীর মিলনমেলা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১০ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

যান্ত্রিকতার এ শহরে নানা ধরনের উৎসব হলেও বই নিয়ে উৎসব কমই হয়। বছর ঘুরে একবার বইমেলা আসে। তবে বই বিনিময় ভিন্ন একটি উদ্যোগ।

একবার পড়া হয়ে গেলে অনেকের কাছে বই পুরনো হয়ে যায়। পড়ে থাকে বইয়ের র‌্যাকে। এভাবে ফেলে না রেখে একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করলে কেমন হয়! তাতে বইটি বিভিন্ন হাত ঘুরে প্রাণ ফিরে পায়। এ রকম চিন্তা থেকে চার তরুণ সমাজসেবক ‘বইবন্ধু’ সংগঠনের ব্যানারে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরের পাশে আয়োজন করেছিলেন প্রথম বই বিনিময় উৎসব। সেই থেকে শুরু। ঘরের কোনায় ধুলো জমে পড়ে থাকা বইয়ের বিনিময়ে অন্য বই দিতে চট্টগ্রামে তৃতীয়বারের মতো গতকাল থেকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছে ‘বইবন্ধু’। বইবন্ধু চায় বইয়ের আলোচনা হোক, বই নিয়ে পাঠকদের মিছিল হোক। ছোটবড় নির্বিশেষে সকল ধরনের পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ হোক এই উৎসবে।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বই বিনিময় উৎসবের আয়োজন করা হয় নগরের সিআরবির শিরীষতলায়। এই উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে শত শত বইপ্রেমীর মিলনমেলা। দুদিনব্যাপী এই উৎসব প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। আজ রোববার উৎসব চলবে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আয়োজনে বিশেষভাবে যুক্ত হয়েছে জেসিআই ঢাকা অ্যাসপিরেন্টস এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।

বই বিনিময় করা যাবে যেভাবে : বই বিনিময় উৎসবে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই। যেমন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, জীবনী, ভ্রমণকাহিনী, শিশুতোষ, মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক বই ইত্যাদি। যে ক্যাটাগরির বই নিয়ে আসবেন সেই ক্যাটাগরির বই বেছে নিতে পারবেন। কেবল উপন্যাস দিয়ে নেওয়া যাবে সব রকমের বই। একজন সর্বোচ্চ ১০টি বই বিনিময় করতে পারবেন। তবে ছেঁড়া এবং পড়ার অযোগ্য বই দিয়ে কোনো বই বিনিময় করা যাবে না। প্রয়োজন অনুসারে জমা দেওয়ার মতো বই না থাকলেও নেওয়া যাবে প্রাতিষ্ঠানিক বই।

বই বিনিময় উৎসবে প্রধান অতিধি ছিলেন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একেএম দাউদুর রহমান মিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এবং জেসিআই বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার রাফায়েলুর রহমান মেহেদী।

২০১৮ সাল থেকে একদল পড়ুয়া তরুণ নিয়ে ‘বইবন্ধু’র পথচলা শুরু। সেই থেকে গণপরিবহন পাঠাগার, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পাঠাগার, নরসুন্দর পাঠাগার নামে সেলুন পাঠাগার, হাসপাতাল পাঠাগার, বিচ পাঠাগার (বাঁশখালীর কদম রসুল), বইবন্ধু টু আওয়ার্স লাইব্রেরি, দুই টাকার বুক কাউন্টার, স্বশিক্ষার পাঠশালাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে তারা। এর মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন বই বিনিময় উৎসব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে : সিইসি
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তে আর মৃত্যু নয়